বাঘা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা ভাঙ্গন পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। শনিবার (১৩ আগষ্ট) সকাল ৮টায় উপজেলার আলাইপুর থেকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদী ভাঙ্গন এলাকা তিনি পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সারওয়ার-ই-জাহান, চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান, চকরাজাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
জানা যায়, পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ইতিমধ্যে চকরাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়টি ভাঙ্গন থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দুরে অবস্থান করছে। চরকালিদাসখালী, জোতকাদিরপুর, দিয়ারকাদিরপুর, লক্ষীনগরসহ ১৫টি চর ভাঙনের মুখে পড়েছে। গত এক সপ্তাহে ১৫টি বাড়ি, আম বাগান, বরই বাগান, পেয়ারা বাগান, শাকসবজি, আখ ক্ষেত, বিভিন্ন ফসলি জমিসহ শত বিঘা জমি পদ্মা গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে।
পদ্মার চরে মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি উ”চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর, ফতেপুর পলাশি, লক্ষীনগর, চকরাজাপুর, পশ্চিম চরকালিদাসখালী, পূর্ব চকরাজাপুর এগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়। চকরাজাপুর ও পলাশি ফতেপুর এই দুটি উচ্চ বিদ্যালয়। পদ্মার চরে ৯টি প্রাথমিক ও দুটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার ৬০০ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
এ বিষয়ে চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবলু দেওয়ান বলেন, পদ্মায় বর্তমানে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরমধ্যে অনেকেই বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। চকরাজাপুর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে আজ ছোট হয়ে যাচ্ছে। ফলে পদ্মা তীর রক্ষার্থে কাজ করলে চকরাজাপুরবাসি নতুন স্বপ্নে উজ্জীবিত হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, নদী খনন করলে নাব্যতা ফিরে পাবে এবং নদীর মূল স্রোতধারা নদীর কেন্দ্র বরাবর প্রবাহিত হবে। এর সাথে পদ্মা তীর রক্ষার্থে স্থায়ী বাঁধ, স্পার, টি বাঁধ, আই বাধঁ নির্মাণ করা হবে। ফলে নদী ভাঙ্গন অনেকাংশে কমে আসবে। অতিশীর্ঘই এর কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।
এস/আই