সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ
জামালপুরের অডিটোরিয়ামে ‘গলুই’ ছবির প্রদর্শনী বন্ধ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্মাতা এসএ হক অলিক। পরিচালক জানান, জামালপুরের মূল প্রদর্শনী ক্ষেত্রটিও যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অডিটোরিয়ামগুলো বন্ধ করার ব্যাপারে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে অর্থাৎ ১৯১৮ সালে প্রণীত একটি আইনকে সামনে টেনে এনেছেন জেলা প্রশাসক। যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা এমন কোনো নির্দেশনা দেননি।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ফেসবুকে ফারুকী লিখেছেন, দেখেন আমাদের এটাই প্রাপ্য। কারো সিনেমা আটকানো হলে আমরা বাকিরা যখন সেটা উপভোগ করি, রসালো গল্প তৈরি করে অনলাইনে ছাড়ি, তখন নানারকম বিধি নিষেধের গিলোটিন আমাদের উপর নাজিল হবে না কাদের উপর হবে? আমরা যখন এইসব করে বেড়াবো, ঠিক ঐ অবসরেই আইন করা হবে যে, ডিসি চাইলে এমন কি সেন্সর পাওয়া ছবিও আটকে দেয়া যাবে। বাই দ্য ওয়ে, জামালপুরের সিনেমার প্রদর্শনী কিন্তু কনটেন্টের জন্য বন্ধ করা হয় নাই। করা হইছে সিনেমা হলের বাইরে দর্শনীর বিনিময়ে সিনেমা দেখানোর অপরাধে। কিন্তু ডিসি চাইলে কনটেন্টের জন্যও সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করতে পারেন, এমনকি সেন্সর হওয়ার পরও। নতুন নীতিমালাতে এটা ছাড়াও আরও ভয়াবহ আইন আছে।
গুণী এই নির্মাতা বলেন, শিল্পীর স্বাধীনতা বিষয়ে আপনি মনে মনে অনেক কিছু প্রত্যাশা করতে পারেন। বাস্তবে আপনার হাত পা পুরাই বাঁধা! এই বিষয়ে সরকারের সাথে আমরা আমাদের নেগোসিয়েশন যথাযথ করতে পারি নাই। কেনো পারি নাই এটা সবাই নিজেদের প্রশ্ন করলে উত্তর পাইয়া যাবেন। এখন তাই কেবল নির্দোষ প্রেমের গল্প ছাড়া আপনার হাতে বানানোর মতো আর কিছু নাই। সেই নির্দোষ প্রেমের গল্পও অবশ্য ব্যান খাইতে পারে সামাজিক মূল্যবোধে আঘাত করার জন্য। যেরকম আমার থার্ড পারসন সিঙ্গুলার আর ব্যাচেলর খাইছিলো কয়েক মাসের জন্য।
ঈদুল ফিতরের দিন থেকে জামালপুর সদরের শিল্পকলা নতুন অডিটোরিয়াম ভবন (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত), ইসলামপুরে ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়াম (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত), মাদারগঞ্জে নুরুন্নাহার মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত)—এ বিশেষ ব্যবস্থায় প্রদর্শনী হয়ে আসছিল। পরে জামালপুর সদরের প্রদর্শনী স্থানান্তর করে মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে নিয়ে আসা হয়।
এই তিন অডিটোরিয়ামেই চলচ্চিত্রটির প্রদর্শনী থাকছে না। নির্মাতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোকলেসুর রহমান সোমবার দুপুরে আলাপকালে বলেন, ‘চলচ্চিত্র বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা আমরা দেইনি। কারণ সেখানে আমাদের বলার কিছু নেই। সিনেমা চললে চলবে, আমাদের অনুমতি দেওয়া বা বন্ধ করতে বলার কোনো কারণই ঘটেনি।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ