শরীরে চুলকানি সত্যি একটি বিরক্তিকর ব্যাপার। এটি অনেকের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। কেন চুলকানি হয়—এ বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান থাকাটা বেশ প্রয়োজন।
কারণ
► শীতের ঠাণ্ডা ও শুকনা হাওয়া।
► শীতে রোদ পোহাতে ভালো লাগলেও দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলোতে ও তাপে শরীরে সানবার্ন হতে পারে। একে কোল্ড সানবার্ন বলে।
► বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে।
► শীতে ব্যবহার করা প্রসাধনী শরীরের সঙ্গে মানানসই না হলে।
রোগ
► যকৃতের রোগ।
► কিডনির রোগ।
► থাইরয়েডের রোগ।
► ত্বকের ইনফেকশন, বিশেষ করে ছত্রাকজনিত।
► ত্বকের প্রদাহ, বিশেষ করে একজিমা, সেবরিক ডারমাটাইটিস, সোরিয়াসিস।
► বিভিন্ন রকম অ্যালার্জি।
যেসব লক্ষণ থাকতে পারে
► জন্ডিস, বমি, পেটের ব্যথা—যকৃতের রোগ।
► ক্ষুধামান্দ্য, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বৃদ্ধি—কিডনির রোগ।
► ওজন বৃদ্ধি, শীত বেশি লাগা, কোষ্ঠকাঠিন্য—হাইপো থাইরেডিজম।
► ওজন কমা, গরম বেশি লাগা, হাত ঘামা, বুক ধড়ফড় করা—হাইপার থাইরেডিজম।
► ত্বকে চাকা হওয়া, ফুসকুড়ি, মরা চামড়া ওঠা—ত্বকের প্রদাহ।
► ত্বকে অ্যালার্জিজনিত চাকা ও লাল হওয়া।
করণীয়
► ত্বকের পানিশূন্যতা রোধে বেশি পানীয় পান করা।
► ত্বকের শুষ্কতা রোধে গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা।
► সরাসরি শীতের রোদে বেশিক্ষণ না থাকা।
► ক্ষতিকর সাবান, প্রসাধনী ব্যবহার না করা।
► ভিটামিন ‘এ’ ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া।
শরীরে চুলকানি হলেই তা মারাত্মক রোগের লক্ষণ নয়। তাই প্রথমে খেয়াল করতে হবে ওপরে বর্ণিত রোগ নির্দেশক লক্ষণগুলো আছে কি না। এখানে উল্লেখিত লক্ষণগুলো না থাকলে দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। সাধারণত এই চুলকানি ওপরে বর্ণিত করণীয় মেনে চললেই সেরে যায়। তবে চুলকানি না সারলে বা রোগ নির্দেশক লক্ষণগুলো থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. পংকজ কান্তি দত্ত
সহকারী অধ্যাপক
মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ