নারী কনস্টেবলের আত্মহত্যার অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে বিষপানে রহিমা খাতুন (২০) নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রহিমা চট্টগ্রামের কক্সবাজারের অষ্টম আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশে (এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন।

বগুড়া ছিলিমপুর মেডিক্যাল পুলিশ ফাঁড়ির এটিএসআই আশরাফুল জানান, প্রেমঘটিত কারণে কনস্টেবল রহিমা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত হবে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের দাবি, রহিমা খাতুন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চন্ডিশ্বর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। তিনি দুই বছর আগে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পান। তাকে কক্সবাজার অষ্টম আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে পোস্টিং দেওয়া হয়। তার সঙ্গে একই ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল হৃদয় হাসানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি রহিমাকে ঢাকার এপিবিএনে বদলি হন। রহিমা বদলিজনিত ১০ দিনের ছুটিতে গত ৫ জানুয়ারি বগুড়ার শেরপুরের বাড়িতে আসেন।

তারা আরও দাবি করেন, বিয়ের জন্য ফোনে হৃদয়কে চাপ দেন তিনি। কিন্তু হৃদয় রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর পরিবার থেকে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। এতে রহিমা অভিমান করেন এবং বুধবার বেলা ১০টার দিকে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর তিনি শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হাতিগাড়া এলাকায় স্যাটকম অ্যাগ্রো পার্কে গিয়ে বিষপান করেন। পার্কে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টায় তিনি মারা যান।

তার চাচা রুবেল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, একই ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল হৃদয় হাসানের সঙ্গে রহিমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের মধ্যে মতবিরোধ হলে রহিমা মনের দুঃখে বিষপান করেন।- বাংলাট্রিবিউন