শুক্রবার , ৮ অক্টোবর ২০২১ | ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

গ্রহাণুর ধাক্কা থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে নাসার অভিনব উদ্যোগ

Paris
অক্টোবর ৮, ২০২১ ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে অ্যাস্টেরয়েড বা গ্রহাণু। ছোটখাটো হলে চিন্তা নেই কিন্তু যত বড় আকার হবে তত বিপদ। পৃথিবীর কোনও জনবহুল এলাকায় এসে পড়লে হবে প্রাণক্ষয় এবং সম্পত্তিক্ষয়। রক্ষা পাওয়ার উপায় বের করেছে নাসা।

পৃথিবীর ধারেকাছে আসার আগে মহাকাশেই ওই গ্রহাণুকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরেই প্রথম পরীক্ষামূলক মিশন রকেট পাঠাচ্ছে নাসা। তবে এই মিশনে কোনও মহাকাশচারী থাকবে না।

আগামী ২৩ নভেম্বর  ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট মিশন লঞ্চ করতে চলেছে নাসা। এই মিশনের লক্ষ্য ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা উল্কা, গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েডকে পথ থেকে সরিয়ে দেবে। এর জন্য ডিডাইমোস নামক এক অ্যাস্টেরয়েডকে পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

এই ডার্ট মিশন হল নাসার প্রথম প্ল্যানেটরি ডিফেন্স মিশন। মহাকাশে একটি যান পাঠানো হবে যা ৬.৬ কিমি প্রতি সেকেন্ডে আঘাত করবে অ্যাস্টেরয়েডের উপগ্রহকে, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে মুনলেট বলা হয়। এই ধাক্কার ফলে উপগ্রহটির আবর্তন গতি এক শতাংশ কমে যাবে। তাতে প্রদক্ষিণের সময়সীমা বদলে যাবে অনেকটাই।

২৩ নভেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২০-তে ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ বিমান ঘাঁটি থেকে ছাড়া হবে একটি স্পেস-এক্স ফ্যালকন ৯ রকেট। মহাকাশে এক বছর ওড়ার পর ডিডিমোস এবং তার উপগ্রহ ডিমর্ফোসের কাছে পৌঁছাবে সেটি। পৃথিবী থেকে গ্রহাণুটির দূরত্ব তখন ১.১ কোটি কিলোমিটার। শুনতে বহু দূর মনে হলেও পৃথিবী থেকেই টেলিস্কোপের সাহায্যে নজরদারি চালাবেন বিজ্ঞানীরা।

ডিডিমোস গ্রহাণুটি আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৯৬৯ সালে। কিন্তু তার যে আবার এক ‘চাঁদ’ আছে তা জানা যায় ২০০৩ সালে। ডিডিমোসের ব্যাস ৭৮০ মিটার এবং ডিফর্মোসের ৫২৫ ফুট। নাসার এই পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে এই উপায়ে আরও মহাজাগতিক বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ - বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি