শুক্রবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

যার হাত ধরে আকাশযুদ্ধকে সীমানার বাইরে ছড়িয়ে দিচ্ছে ইরান, আতঙ্কে ইসরায়েল

Paris
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১ ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

কাসেম সোলেইমানি, তিনি ছিলেন ইরানের বিশেষ বাহিনী রেভ্যুলশনারি গার্ডের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান। গত বছরের জানুয়ারিতে ইরাকের বাগদাদে তাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করে আমেরিকা।

জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ছিলেন ইরানের আঞ্চলিক শক্তি বৃদ্ধির প্রধান কারিগর। তিনি ছিলেন ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর সবচেয়ে প্রভাবশালী কমান্ডার। সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, যাকে নিয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকতো ইসরায়েল।

কাসেম সোলেইমানি জীবিত থাকার সময় ইসরায়েলের সমরবিদদের মুখে মুখে ছিল তাকে নানা ‘অপবাদ’। ওই জেনারেল সম্পর্কে খবরাখবরের বড় উৎস ছিল ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংগ্রহ। এখন সেটা শুরু হয়েছে ইরানের বর্তমান জেনারেল আমির আলি হাজিজাদেহকে নিয়ে, যাকে নতুন সোলেইমানি ভাবে ইসরায়েল।

 

বর্তমানে এই আমির আলি হাজিজাদেহকে নিয়ে চরম আতঙ্কে ভুগছে ইসরায়েল। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখে মুখে ইরানের এই ব্যক্তির নাম উচ্চারিত হচ্ছে। কেননা, এই ব্যক্তি তার বুদ্ধিমত্তা ও কৌশলে ক্রমাগত ইসরায়েলকে চমকে দিচ্ছে। এরই মধ্যে ড্রোন বা ‘মানুষবিহীন আকাশযান’ এবং মিসাইল প্রযুক্তিতে আমির আলী ও তার সহকর্মীরা ইসরায়েলকে মহা চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। কারণ, কুদস ফোর্সের হাত হয়ে এসব প্রযুক্তি চলে যাচ্ছে লেবানন, গাজা, ইয়েমেনসহ ছায়াযুদ্ধের বহু ফ্রন্টে। অভিযোগ উঠেছে, আমির আলি হাজিজাদেহ-এর আমলে ইরান আকাশযুদ্ধকে ছড়িয়ে দিচ্ছে নিজেদের আকাশসীমার বাইরে বহু ‘অপর আকাশে’। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শঙ্কার দিক এটা। সেই সূত্রেই আমির আলি হাজিজাদেহ এখন ইসরায়েলের নতুন ‘টার্গেট’। যেভাবে ছিলেন ইরানিদের প্রিয় কাসেম সোলেইমানি।

তরুণ বয়সে ইরাকবিরোধী যুদ্ধকালে আমির হাজিজাদেহকে ইরান গড়ে তুলতে চেয়েছিল দক্ষ ‘স্নাইপার’ হিসেবে। কিন্তু এই যোদ্ধা বিশেষভাবে প্রভাবিত ছিলেন জেনারেল হাসান তেহরানী দ্বারা। যিনি ছিলেন ইরানের আকাশযুদ্ধ প্রযুক্তির প্রধান স্তম্ভ। ২০১১ সালে রহস্যময় এক বিস্ফোরণে ইরান তাদের মিসাইল প্রযুক্তির ওই অগ্রসেনানীকে হারায়। মৃত্যুর আগে হাসান তেহরানি গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ সেরে যান, তা হল আমিরকে তার শাখার ওপরের দিকে টেনে আনা। তারপর থেকে আমির আলী ইরানের আকাশযুদ্ধ প্রযুক্তির নতুন গুরু।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক