কর্ণফুলীতে বছরে তিন হাজার ৯২৪ টন মাছের উৎপাদন

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ‘বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি’ এই শ্লোগানে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর।

রবিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানার সভাপতিত্বে ও উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল ইসলাম চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বানাজা বেগম নিশি, জুলধা ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ, সাংবাদিকদের মধ্যে কর্ণফুলী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক পূর্বকোণ প্রতিনিধি মোর্শেদুর রহমান নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আবেদ আমেরী, প্রথম আলো প্রতিনিধি মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, শফিউল আজম, হুমায়ূন কবির শাহ্ সুমন, মো. ইমরান হোসাইন, সগির মাহমুদ, আকাশ শীল।

মতবিনিময় সভায় আরো জানানো হয়, কর্ণফুলী উপজেলায় মোট ৪৫২ জন জেলে রয়েছে। পুকুর রয়েছে দুই হাজার ৮টি। আগে জেলেদের জন্য অপ্রতুল খাদ্য সহায়তা থাকলেও এ বছর তা বেড়েছে। এছাড়া কর্ণফুলীতে পরিবেশ ও অবস্থানগত কারণে দিন দিন পুকুর ও জলাশয় দ্রুত কমছে। কর্ণফুলী নগরীর প্রান্তে হওয়ায় দিন দিন নগরায়নের প্রভাব পড়ছে এ উপজেলায়। এ উপজেলায় ৮টি বরফকল, বেশ কটি কোল্ড স্টোরেজ ও ২ টি মাছের প্রক্রিয়াকরণ কারখানা রয়েছে। পরিত্যক্ত ও খালি জায়গায় মাছের চাষ বাড়িয়ে চাহিদা পূরণের জন্যও পরামর্শ দেয়া হয় এ মতবিনিময় সভায়।

এর আগে জুলধা আশ্রয়ণ প্রকল্পের পুকুরে বিভিন্ন জাতের পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।

মতবিনিময় সভায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান জানান, কর্ণফুলীতে বছরে তিন হাজার ৯২৪ টন মাছের উৎপাদন হয়। জনসংখ্যার অনুপাতে মাছের চাহিদা ৩ হাজার ৫৪৭ টন। এর মধ্যে পুকুর ও জলাশয় থেকে উৎপাদন হয় ১ হাজার ৩৬৩ টন। অবশিষ্ট মাছ নদী ও সমুদ্র থেকে আহরণ করা হয়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ