করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জারি থাকা বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হতে পারে বলে নানা মহলে ইঙ্গিত মিলেছে।
কিন্তু গণপরিবহণ কবে চালু হবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। জানা গেছে, লোকাল ট্রেন আবারো চালুর দাবি মাথায় রেখে তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করতে চেয়ে গত সপ্তাহে তারা চিঠিও দিয়েছে রাজ্যকে।
কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে রবিবার পর্যন্ত কোনো জবাব মেলেনি বলেই রেল কর্মকর্তারা জানান। সে কারণে বিধিনিষেধ শিথিল হলেও লোকাল ট্রেন চালু হবে কি না, সেই বিষয়টি অনিশ্চিত বলেই মনে করছেন তারা। একইসঙ্গে বেসরকারি বাস পরিষেবা নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য রেলের মতো চিঠি দিয়ে রাজ্যের কাছে পরিষেবা শুরু করার আগ্রহ দেখিয়ে এখন পর্যন্ত আবেদন জানায়নি। তবে পরিষেবা শুরু করার সব রকম প্রস্তুতি তাদের রয়েছে বলে জানিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণ এড়াতে তাদের কর্মীদের টিকা দেওয়ার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে।
সাধারণের জন্য লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকলেও নিজেদের কর্মীদের জন্য পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল সীমিত সংখ্যক ট্রেন চালাচ্ছে। তাতে স্বাস্থ্য, ব্যাঙ্ক, টেলিকমের মতো জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীদের মাসিক টিকিট কেটে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রেলের খবর, পূর্ব রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল এবং মালদহ এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনে অল্প সংখ্যায় কিছু লোকাল চলছে।
কিন্তু এই পরিষেবায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশনে। বিধিনিষেধ সত্ত্বেও ১২ কামরার লোকাল ট্রেন সেখানে ভিড়ে উপচে পড়ছে। ওই ট্রেনগুলোতে প্রথম ৬টি কামরা রেলকর্মীদের জন্য এবং পরের কামরাগুলো জরুরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীদের জন্য নির্দিষ্ট।
রেল কর্মকর্তাদের বক্তব্য, সারা দিনে প্রায় ৩০০ ট্রেন চালিয়েও শিয়ালদহ ডিভিশনে যাত্রীর ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই দূরত্ব-বিধি বজায় রাখার স্বার্থেই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে একজন রেল কর্মকর্তা বলেন, যাত্রীদের চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে ভিড় এড়াতে বেশি ট্রেন চালানো জরুরি। তবে, সেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে রাজ্য সরকার কীভাবে বিধিনিষেধে ছাড় দিচ্ছেন তার উপরে। রাজ্য চাইলে আমরা সব লোকাল ট্রেন চালাতে প্রস্তুত।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ