রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে সম্প্রতি গ্রিস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী সর্বকালের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। ইতিমধ্যে ইসরায়েল ও গ্রিসের মধ্যে বিমানবাহিনী যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে।
এ চুক্তির মধ্যে অন্তভুক্ত রয়েছে গ্রিসের বিমানবাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন। ইসরায়েলের নিজস্ব ফ্লাইট একাডেমির মডেলের নির্মিত হবে এ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। আরও থাকছে ইতালির তৈরি ১০এম-৩৪৬ এয়ারক্রাফট। গ্রিসের টি-৬ এয়ারক্রাফটের পরিমার্জন ও পরিচালনার জন্য সরঞ্জাম সরবরাহ করবে এলবিটের সাথে থাকবে প্রশিক্ষণ, সিমুলেটর ও লজিস্টিকস সাহায্য।
এক সংবাদ সম্মেলনে রবিবার (১৮ এপ্রিল) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, ‘দুই দেশের বিমানবাহিনী যৌথ মহড়া শুরুর করায় তাদের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বন্ধন শক্তিশালী হবে। এছাড়াও গ্রিসের প্রতিরক্ষা ঠিকাদার এলবিট সিস্টেমসের সঙ্গে ২২ বছর মেয়াদি ১.৬৫ বিলিয়নের চুক্তি অন্তভুক্ত রয়েছে।’
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, এই কর্মসূচি ইসরায়েল ও গ্রিসের অর্থনীতিকে সক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে ও শক্তিশালী করবে। এভাবে আমাদের দুই দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব প্রতিরক্ষা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্তরে আরও গভীর হবে।’
সাইপ্রাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত, গ্রিস, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানে দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের সম্মত হওয়ার পরই শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) এই চুক্তির ঘোষণা হয়।
সাম্প্রতিকালে ইসরায়েল, গ্রিস ও সাইপ্রাস সাগরতলে বৈদ্যুতিক লাইন ও গ্যাস পাইপলাইন নিয়ে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে। যা তাদের আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী তুরস্ককে খেপিয়ে তুলেছে। গত মাসে ইসরায়েল জানায়, তার গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে নৌ মহড়া চালিয়েছে।
সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে জাহাজ পাঠিয়ে সম্প্রতি গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় তুরস্ক। সেই বিরোধের মাঝে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করল গ্রিস।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন