সিল্কসিটনিউজ ডেস্ক:
বরিশাল শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকরা ৩ দিন পর মঙ্গলবার ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন। তবে কোন শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে তা নিয়ে লুকোচুরি করছেন হাসপাতালের পরিচালক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা. মাসুদ খানের বিচার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার বেলা ২টা থেকে তারা ধর্মঘট শুরু করেছিলেন।
শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বেলা ১টায় সমকালকে বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কিছুক্ষণ আগে তাকে লিখিতভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছেন। কি শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে জানতে চাইলে পরিচালক ক্ষুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘এটা সাংবাদিকদের জানার দরকার নেই, জনস্বার্থে ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে’।
ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েসনের সভাপতি ডা. সজল পান্ডে বলেন, সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন। ধর্মঘট প্রত্যাহারের কথা স্বীকার করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ডায়গনস্টিক প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া কমিশনের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২১ সেপ্টেম্বর ডা. সজল পান্ডের নেতৃত্বে মেডিসিন ইউনিট- ৪ এর সহকারী রেষ্ট্রিার ডা. মাসুদ খানকে তার কর্মস্থলে বেদম মারধর করা হয়। ডা. মাসুদ খান লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার না পেয়ে গত বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোশিয়েসনের সভাপতি ডা. সজল পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক ডা. তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ডা. মাসুদ খানের বিরুদ্ধে ডায়গনস্টিক প্রতিষ্ঠান থেকে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তার বিচার এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার বেলা ২টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেছিলেন।
সূত্র: সমকাল