জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নাটোরের প্রকৌশল ছাত্র মোসাব্বর

বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি :
দূরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত নাটোরের বাগাতিপাড়ার প্রকৌশল ছাত্র মোসাব্বর হোসেন সুকেল। সে এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। যেকোন সময় জীবন প্রদীপ নিভে যেতে পারে মেধাবী এই ছাত্রের।

সামর্থ্যবানদের একটু সহানুভূতি, বিত্তবানদের সহযোগিতা এই মেধাবী মুখের ধুসর জমিনে আনতে পারে আলোকচ্ছটা। মাত্র কয়েক মাস আগেও যার চোখে মুখে ছিল আগামির বাংলাদেশ গড়ার অংশীদার হওয়ার স্বপ্ন। সেই সবই যেন ফিকে হতে বসেছে তার।

উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর আবু তাহেরের ছেলে সে। দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড় মোসাব্বর হোসেন সুকেল। রাজশাহী সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৩য় সেমিষ্টারের ছাত্র সে।

মোসাব্বর হোসেন জানায়, অনেকদিন থেকেই শরীরে দেখা দেয় নানা অসঙ্গতি। দিনমজুর দরিদ্র বাবার সন্তান সুকেল লেখাপড়ার খরচ চালাতেই হিমশিম খেত, সেখানে ডাক্তার দেখানোর পেছনে অর্থ ব্যয় সঙ্গত মনে করেনি। স্থানীয় ভাবে হোমিও চিকিৎসা নিয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় মাস চারেক আগে চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হয় সে। পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়ে শরীরে বাসা বেঁধেছে এইচবি ই বিটা থ্যালাসেমিয়া। এর ফলে তার হার্ট, লিভার, প্লিহা দিন দিন বড় হচ্ছে। রক্তে আয়রনের মাত্রা বাড়ছে, আর কমে যাচ্ছে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। এ অবস্থায় ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মোসাব্বর।

দূরারোগ্য এ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসক তাকে ভারতের চেন্নাই গিয়ে অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। এতে তার প্রয়োজন প্রায় ৪০ লাখ টাকা। কিন্তু সে সামর্থ্য মোসাব্বরের বাবা মায়ের নেই। তবে কি স্বেচ্ছায় মৃত্যুর দিকে যেতে হবে মেধাবী এ শিক্ষার্থীকে? সামর্থ্যবান-বিত্তশালী মানুষের প্রতি সহায়তার হাত বাড়াতে জনতা ব্যাংকের বাগাতিপাড়া শাখার হিসাব নম্বর ০১০০২১৭০১২৭৭০ অথবা মোসাব্বরের সাথে ০১৮৩২৮৮৮৩৬৪ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ তার পরিবারের।