তিনি পুরুষ, তার স্বামীও পুরুষ, তবু রিকি মার্টিনের চার সন্তান

তিনি গায়ক,পুরুষ, বিশ্ব বিখ্যাত! তার স্বামীও পুরুষ, জওয়ান ইয়োসেফ। কিন্তু তাদের চার সন্তান আছে। অসাধারণ এই গল্পটাই তিনি করেছেন আউট ম্যাগাজিনের জন্য দেয়া একটি নতুন প্রচ্ছদ গল্পে। ৪৮ বছর বয়স্ক গায়ক সাক্ষাতকারে অবলীলায় বলেছেন যে তিনি স্বীকার করতেই পারছিলেন না তিনি একজন সমকামী পুরুষ হয়েও একজন বাবা হতে পারবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি চার সন্তানের বাবা এখন।

তিনি বলেন, অনেক বছর আমি বাবা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি, এবং অনেক, অনেক সময় আমি ভেবেছি যে আমি সমকামী, আমি একজন সমকামী পুরুষ, এবং আমি বাবা হতে পারবো না। অবশ্যই দত্তক নেওয়া একটি বিকল্প এবং এটি খুবই সুন্দর, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সমকামী পুরুষদের জন্য কিছু দেশে দত্তক নেওয়া খুবই কঠিন।

রিকি মার্টিনের চারটি সন্তানই সারোগেট তথা ভাড়া করা গর্ভের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে। ২০১০ সালে তিনি অপরাহ উইনফ্রেকে বাবা হওয়ার আকাঙ্ক্ষার কথা বলেন এবং সারোগেসি পদ্ধতি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। রিকি মার্টিন সাক্ষাতকারে বলেছেন, সন্তানের জন্য যে নারী ডিম্ব দিয়েছেন এবং যার গর্ভে সন্তান বড় হয়েছে এই দুজনের কেউই মার্টিনের পরিচয় জানতেন না।

রিকি বলেন, কিছু মা, যারা অন্যের জন্য নিজেদের গর্ভে বাচ্চাদের বহন করছে তারা এটা পছন্দ থেকেই করছে, আর আমার কেসটা এরকমই ছিল।

রিকি মার্টিনের জন্য যে নারী তার গর্ভে সন্তান বড় করেন তার সঙ্গে সাক্ষাতকাএরর প্রক্রিয়াটি ছিল ফোনে। রিকি বলেন, আমি ওই নারীকে বললাম, তুমি এটা কেন করছ? তিনি বলেন, কারণ আমি একজন অত্যন্ত আধ্যাত্মিক নারী, এবং আমি সেই মুহূর্তের চেয়ে ঈশ্বরের কাছাকাছি অনুভব করিনি যেখানে আমি এমন কাউকে জীবনের উপহার দিতে পারি যে নিজে তা করতে পারে না। আমি তাকে বললাম, “তুমিই পরীক্ষায় প্রথম হয়েছ।”

সেই নারীর গর্ভ থেকে পাওয়া সন্তানটির বয়স এখন ১০ বছর।  পরে একইভাবে তিনি আরো সন্তান নেন। রিকি মার্টিন আউট ম্যাগাজিনকে আরো বলেন, তিনি নিজে একটি বড় পরিবার থেকে এসেছেন- তার দাদীর ১৪টি বাচ্চা ছিল। এই রকমই নিজের জন্য বড় পরিবার চান উল্লেখ করে এই শিল্পী বলেন, আমি ভবিষ্যতে অনেক নাতি-নাতনি দেখতে চাই এবং প্রতি রবিবার পরিবারে ঘরভর্তি মানুষের মধ্যে থাকতে চাই।

পুরুষই সংসার চালাচ্ছে। নারী নেই পাশে। সন্তানদের মা নেই। সংসার কি অনেক ভারি মনে হয় না? এ প্রসঙ্গে রিকি বলেন, বিষয়টি মিশ্র। এমন কিছু মুহূর্ত আছে যেখানে আমি আরো ১০টি চাই। আবার এমন কিছু সকাল আছে যেখানে সবাই কাঁদছে। তখন আমি মনে করি, ওকে, হয়তো আমরা সকাল ছয় টায় ঠিক ছিলাম।

তিনি আরো বলেন,  আমি একই সময়ে দুটি শিশু এবং ট্রলার এবং ব্যাকপ্যাক বহন করছি- তাই এটা অনেক ভারি। এটা একটা বড় দায়িত্ব।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ