বিস্ফোরণের ধাক্কায় ক্রমে নড়বড়ে হয়ে পড়ছে লেবানন সরকার। প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে এবার পদত্যাগ করলেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী মানাল আবদেল সামাদ। পদত্যাগ করার সময় বিব়ৃতিতে সরকারের সমালোচনা করেন মন্ত্রী মানাল। লেবাননের জনগণের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বৈরুতে বিরাট বিপর্যয়ের পর আমি সরকার থেকে পদত্যাগ করলাম।
এদিকে, আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা করতে পারেন দিতে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর, লেবাননে পরপর আরও কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগ করতে চলেছেন। ইতিমধ্যে বিক্ষোভের মুখে বেশ কয়েকজন সাংসদ পদত্যাগ করেছেন। পরিস্থিতি রীতিমতো চিন্তার বলেই সরকারের একাধিক শীর্ষ মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, সময় যত যাচ্ছে সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে।
বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের পর লেবানন সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছে। আর সরকারের গাফিলতিতে এই বিস্ফোরণ হয়েছে দাবি তুলে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বৈরুতে চলছে জনতা পুলিশ সংঘর্ষ। বসংঘর্ষে ৭০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। একটার পর একটা মন্ত্রালয়ে ঢুকে ক্ষিপ্ত জনগণ ভাঙচুর চালান। বিক্ষোভকারীরা লেবাননের প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউনের ছবি পুড়িয়ে দেন। গতকাল রবিবার (৯ আগস্ট) প্রথমে বিদেশ মন্ত্রালয়ে ঢুকে পড়ে বিক্ষুব্ধরা। শুরু হয় ভাঙচুর। এরপর বিভিন্ন মন্ত্রালয়ে হামলা হয়।
গত মঙ্গলবার বৈরুত বন্দর এলাকায় একটি রাসায়নিক পদার্থের গোডাউনে ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়। সাত হাজার মানুষ আহত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা হিরোশিমায় পরমাণু হামলার ১০ ভাগের ১ ভাগ। এমনই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের তীব্রতা এমনই যে বৈরুতে থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরের সাইপ্রাস দ্বীপরাষ্ট্রে কম্পন ও শব্দ শোনা গিয়েছিল।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন