চোখের সামনেই বাবা-মাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দিল তালেবান জঙ্গিরা। এই নির্মম দৃশ্য দেখার পরও নিজেকে সামলে নিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়েন এক কিশোরী।
হাতে তুলে নেন একে-৪৭ বন্দুক। গুলি চালিয়ে দুই তালেবান জঙ্গিকে হত্যা করেন। তার ছোড়া গুলিতে আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন। জীবন বাঁচিয়ে পালিয়ে গ্রামছাড়া হয় জঙ্গিরা। এভাবেই ভাইসহ নিজেকে প্রাণে বাঁচান ওই কিশোরী।
সিনেমার মতো এই ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের ঘোর প্রদেশে।
এই ঘটনার পর ওই কিশোরীর একটি ছবি এখন আফগানিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যেখানে হাতে একে-৪৭ নিয়ে দাঁড়িয়ে সেই কিশোরী।
মা-বাবাকে না বাঁচাতে পারলেও এমন বীরোচিত লড়াইয়ের জন্য নেট দুনিয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন সেই আফগান কিশোরী।
নাজিবা রাহমি নামের একজন ফেসবুক লিখেছেন, ‘তার এমন সাহসের কাছে মাথানত করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’
মোহাম্মদ সালেহ নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আমরা জানি বাবা-মায়ের স্থান অপূরণীয়, কিন্তু তোমার এই বদলা তোমাকে অন্তত কিছুটা শান্তি দেবে।’
স্থানীয় পুলিশের প্রধান হাবিবুর রহমান মালেকজাদার বরাতে বিবিসি জানায়, ওই কিশোরীর নাম কামার গুল। গুলের বাবা ছিলেন ওই গ্রামের প্রধান । তিনি সরকারের সমর্থক হওয়া তালেবান যোদ্ধারা মূলত তার খোঁজ করছিল। এজন্যই তারা তার বাড়িতে গিয়ে তাকে টেনে বাইরে নিয়ে আসে। এ সময় তার স্ত্রী বাধা দিলে দুজনকেই তাদের বাড়ির বাইরে হত্যা করে তালেবানরা। এদিকে কামার গুল তখন ঘরের ভেতর অবস্থান করছিল। বাবা-মায়ের হত্যাকাণ্ড দেখে সে ঘরে থাকা একে ফোরটি সেভেন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তালেবানদের উদ্দেশ করে গুলি ছোড়ে। এতে দুই তালেবান যোদ্ধা মারা যায়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর তালেবান জঙ্গিরা দল বেধে ফের তাদের বাড়িতে আসে। কিন্তু গ্রামবাসী ও সরকারি মিলিশিয়ার পাল্টা আক্রমণে পালিয়ে যায় তারা।
প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র মোহাম্মদ আরেফ আবের জানিয়েছেন, ওই ঘটনার পর কামার গুল ও তার ছোট ভাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সুত্রঃ যুগান্তর