বগুড়ায় রেড জোনে জনসমাগম বন্ধ হয়নি

বগুড়া পৌরসভার নয়টি এলাকা রোড জোন হিসেবে ঘোষণা ও এ ব্যাপারে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও জনসমাগম এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়নি। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেও জনসমাগম রোধ করতে পারছেন না।

ঘোষিত রেড জোনগুলো হল- বগুড়া পৌরসভার চেলোপাড়া, নাটাইপাড়া, নারুলী, সূত্রাপুর, মালতিনগর, জলেশ্বরীতলা, হাড়িপাড়া, ঠনঠনিয়া ও কলোনী।

সোমবার বিকালে শহরের জলেশ্বরীতলা, মালতিনগর, সূত্রাপুর ও ঠনঠনিয়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মুখে বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়রা মোটামুটি বাড়িতে থাকলে বহিরাগতদের চলাচল বন্ধ হয়নি। কোনো এলাকায় পুলিশ দেখা যায়নি। জনগণ ও যানবাহনগুলো বাঁশ সরিয়ে চলাচল করছেন।

শহরের মালতিনগর এলাকার কলেজ শিক্ষিকা সানজিদা ফারহানা শাপলা জানান, রেড জোন ঘোষণার পর থেকে তারা কষ্ট করে বাড়িতে রয়েছেন। কিন্তু বহিরাগত ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়নি।

শহরের মালতিনগর বকশিবাজার, জলেশ্বরীতলা ও সূত্রাপুর এলাকার কয়েকজন তরুণ জানান, বহিরাগত ঠেকাতে তারা বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করেছেন। এরপরও জনগণ ও যানবাহনগুলো বাঁশ সরিয়ে যাতায়াত করছেন। তারা করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে রেড জোন হিসেবে ঘোষিত এলাকাগুলোতে বহিরাগত ও যানবাহন চলাচল বন্ধে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, বগুড়া পৌরসভার নয়টি এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপনও জারি হয়েছে।

তিনি জানান, বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত এসব এলাকায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আদালত জরিমানা আদায়, জনগণকে সতর্ক ও মাস্ক বিতরণ করছেন। প্রয়োজনে প্রশাসন আরও কঠোর হবে।

 

সুত্রঃ যুগান্তর