বৃত্তির টাকা: শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ

পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সমাপনীতে বৃত্তির টাকা পাঠাতে আগামী ৫ জুনের মধ্যে তাদের নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

গত বছরের পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীতে বৃত্তিপ্রাপ্তদের জন্য রোববার (১০ মে) এ সংক্রান্ত আদেশ সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় রাজস্ব খাতভুক্ত মেধা ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক জিটুপি (ইএফটি) এর আওতায় অনলাইনে শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হবে।

এজন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এ দুই পরীক্ষায় বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের একক বা অভিভাবকদের যৌথ নামে অনলাইন সুবিধা সম্পন্ন যেকোনো তফসিলভুক্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে আগামী ৩ জুনের মধ্যে অনলাইন ‘স্কুল ব্যাংক হিসাব’ বা ‘ব্যাংক হিসাব’ খুলে তা ৫ জুনের মধ্যে এমআইএসই-এ আপলোড করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ এমআইএসই সফটওয়্যার মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এএমআইএস সেল থেকে যথাসময়ে আপলোড করা হবে।

বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী নিয়মিত বা ধারাবাহিকভাবে অধ্যায়নরত আছে কিনা, সেটা জানানোর পাশাপাশি কারো পাঠবিরতি রয়েছে কিনা তা এমআইএসই-এ আপলোড করতে হবে।

মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য না পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে মাউশি বলছে, শিক্ষার্থীদের নামে অনলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এ বিষয়ে কোনো ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, প্রাথমিক সমাপনীর ফলাফলের ভিত্তিতে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থীকে ট্যালেন্টপুল এবং সাড়ে ৪৯ হাজার জনকে সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়। ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তরা মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা ২২৫ টাকা করে পায়।

আর মাউশি জানায়, জেএসসিতে মেধাবৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৪৫০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের ৩০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এর বাইরে বইপত্র কিনতে প্রতিবছর মেধাবৃত্তিপ্রাপ্তদের এককালীন ৫৬০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের ৩৫০ টাকা করে দেওয়া হয়।

সূত্র: বাংলানিউজ