ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের নতুন রেকর্ড হয়েছে।
শুধু রোববারই দেশটিতে নতুন করে আরও ৪ হাজার ৩৫৩ জন আক্রান্ত হয়েছে।
যা দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে একদিনে আক্রান্তের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারে দেয়া সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সব রাজ্যের তথ্য মিলিয়ে ভারতে করোনায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৬৭ হাজার ১৬১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছে ১১১ জন করোনা রোগী। এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ২১২ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ হাজার ৯৬৯ জন। হাসপাতালে ও হোম কোয়ারেন্টিনে চিকিৎসাধীন ৪৩ হাজার ৯৮০ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ লাখ ৯ হাজাত ৩৭টি নমুনা পরীক্ষায় এসব তথ্য মিলেছে।
দেশটি সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা মহারাষ্ট্রে। সেখানে করোনা রোগীর সংখ্যা ইতিমধ্যে ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণল্যের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রোববার পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ২২৮ জন। রাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ১৬৫ জন। গুজরাটে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭৯৬ জন। মারা গেছে ৪৭২ জন। রাজধানী দিল্লিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৫৪২ জন। সেখানে প্রাণহানির সংখ্যা ৭৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় দিল্লির খুব কাছাকাছি তামিলনাড়ুর অবস্থান। সেখানে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ৫৩৫ জন। মারা গেছে ৪৪ জন।
এছাড়া রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩ হাজার ৭০৮ জন ও ৩ হাজার ৬১৪ জন। এ দুই রাজ্যে মারা গেছে যথাক্রমে ১০৬ জন ও ২১৫ জন।
এদিকে ভারতে লকডাউনের মেয়াদ ৪৫ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যে কারণে লকডাউনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই ।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) মুখপাত্র ডেভিড নাবারো বলেছেন, আক্রান্তের পর পর ভারতের লকডাউনে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ভালোই হয়েছে। এর ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ মূলত শহর এবং শহর লাগোয়া এলাকাগুলোতেই আটকে গিয়েছে।
সুত্রঃ যুগান্তর