সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দী হয়ে পড়া গ্রাহকের প্রয়োজন বুঝে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো ডেটা অফারে বৈচিত্র্য এনেছে।
এ সময়ে গ্রাহকদের বড় অংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। ঘরে থাকা এসব গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে অপারেটরগুলো বিভিন্ন অফার সাজিয়েছে লম্বা মেয়াদ ও বড় প্যাকে।
অপারেটরগুলো জানিয়েছে, তাদের প্রান্তে ডেটার ব্যবহারও ২৫ শতাংশের মতো বেড়েছে। তবে নানা কারণে তাদের আয় ২০ শতাংশের মতো কমে গেছে।
মাত্র কিছু দিন আগেও অপারেটরগুলোর অধিকাংশ প্যাকেজ মেগাবাইটের (এমবি) হিসাবে থাকলেও এখন সেটি গিগাবাইট বা জিবিতে চলে গিয়েছে।
তাছাড়া অপারেটরগুলো কয়েক দিনের অফার এখন কয়েক সপ্তাহ এমন কী মাস পেরিয়ে আরও দীর্ঘ মেয়াদে রূপান্তর করেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত করোনা পরিস্থিতির কারণে অপারেটগুলোর প্যাকেজে এমন পরিবর্তন আনা হয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। এ সময়ে অনেক অফিসের কর্মীরা ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করছেন। তাছাড়া যারা কাজের মধ্যে নেই তারাও অখণ্ড অবসরে বিনোদনের জন্য কিংবা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগে নির্ভর করছেন ইন্টারনেটর ওপর।
এর বাইরে হরদম চলছে অনলাইন মিটিং, অনলাইন ক্লাস, ফেসবুক ও ইউটিউবের ব্যবহার। নানা রকম অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ভিডিও চ্যাটিংও চলছে দেদার।
বড় প্যাকেজে বেশি ডেটার ব্যবহার হওয়ায় এসব প্রয়োজন বিবেচনা করে মূলত অপারেটরগুলো লম্বা সময় ও বড় ভলিউমের প্যাকেজ সাজিয়েছে।
অপারেটরগুলোর প্যাকেজগুলোতে এখন দেখা মিলছে ৩০ বা ৪০ জিবি’র ডেটা অফারের। আগে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিটকে বড় ভলিউমের ডেটা প্যাকের অফার থাকলেও এখন অন্য অপারেটরগুলোও এমন অফার বেশ দিচ্ছে দেখা যাচ্ছে। ফলে ডেটার গড় মূল্যও কমেছে।
মোবাইল অপারেটরগুলোর ফেসবুক পেইজ থেকে যেমন বড় ভলিউমের ডেটা প্যাকের বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে, তেমনি এসএমএস দিয়েও নিজেদের প্রচারণা চালাচ্ছে তারা।
জানা গেছে, ২৫ মার্চের পর দেশে মোট ব্যান্ডউইথের ব্যবহার ছিল এক হাজার ৪০০ জিবিপিএস সেখানে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে তা চলে আসে এক হাজার ৫৫৮ জিবিপিএসে।
গত শুক্রবার রাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার তার ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্টও দেন।
এর আগে মন্ত্রী জানান, অপারেটরগুলোকে ইন্টারনেট ডেটার মূল্য কমানোর জন্য তারা অনুরোধ করেন। সে অনুসারে তারা মূল্য অনেকটা কমিয়েছে বলেও জেনেছেন।