সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ভারতের আসাম রাজ্যের বনভূমি থেকে একটি হাতি যমুনা নদী দিয়ে দু’শো কিলোমিটার পথ ভাসতে ভাসতে বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার চরে এসে উঠেছে।
বাংলাদেশে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ভারতের বন কর্মকর্তাদের কাছ থেকেই তারা প্রথমে এ খবরটি পেয়েছেন, এবং তাদের একটি প্রতিনিধি দলের কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।
তাদের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা হবে যে কিভাবে এটিকে ভারতে ফেরত পাঠানো যায়।
প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, গত মাসের শেষের দিকে ভারত থেকে পাওয়া এক ইমেইলের মাধ্যমে তারা এই হাতিটির কথা প্রথমে জানতে পারেন।
তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী সাঁতরে হাতিটি এখন যমুনার চরে চরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
“হাতিটি এক চরে কিছুদিন থাকার পর আরেকটি চরে চলে যায়। প্রত্যেকটি চরেই সে বেশ কিছু ঘরবাড়ির ওপর আক্রমণ করে। তখন স্থানীয় লোকজনের ভেতরে কিছু উত্তেজনারও সৃষ্টি হয়। তবে হাতিটি বড় রকমের কোন পাগলামি করেনি,” বলেন মি.আলী।
তিনি জানান, হাতিটি প্রথমে ছিলো গাইবান্ধার একটি চরে। তারপর জামালপুরে এবং বর্তমানে আছে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে।
তিনি বলেন, এই মওসুমে চরাঞ্চলে হাতির জন্যে পর্যাপ্ত খাবার পাওয়া যায়। যমুনার চরে প্রচুর ঘাস, কলা গাছ, বাঁশ আছে। ফলে তার খাবারের কোন অভাব হচ্ছে না।
বন বিভাগের একটি টিম এই হাতিটির ওপর সর্বক্ষণ নজর রাখছেন।
মি. আলী জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশে হাতি আসার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও আরো দু’বার এরকম হাতি আসার ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, এই হাতিটিকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা ভারতের সাথে যোগাযোগ করছেন।
এবিষয়ে ভারত থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দলকে বাংলাদেশে আসারও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
“ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে। তবে সমস্যা হলো হাতির মতো প্রাণীর চেতনা নাশ করে দু’ঘণ্টার বেশি রাখা যায় না,” বলেন তিনি।
তিনি জানান, হাতিটিকে আপাতত উজানে না নিয়ে ভাটিতে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা