সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
লিবারল্যান্ড নামের কোন দেশের নাম হয়তো আপনি শোনেননি। অনেকেই শোনেননি। কারণ দেশটি এখনো কারো স্বীকৃতি পায়নি।
তবে এই দেশের একটি পতাকা আছে, প্রেসিডেন্ট আছে। অনেকেই দেশটির নাগরিকত্ব দেয়া আবেদন করেছেন। সমস্যা একটাই, কাউকেই সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
সার্বিয়া আর ক্রোয়েশিয়ার সীমান্তের মাঝে সাত বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ছোট একটি ভূখণ্ড এই লিবারল্যান্ড। একসময় এই ভূখণ্ড ছিল ক্রোয়েশিয়ার অংশ। কিন্তু যুগোস্লাভিয়া ভেঙ্গে যাবার পর নতুন যে সীমান্ত হয়, তাতে বাদ পড়ে ভূখণ্ড। সার্বিয়া বা ক্রোয়েশিয়া, কেউই এই ভূখণ্ডের দাবি করেনি। কারণে এই ভূখণ্ড যোগ করতে হলে, তাদের যে সীমান্তের যে পরিবর্তন হবে, তাতে তাদের এলাকা কমে যাবে।
ফলে এতদিন এই ভূখণ্ডটি ফাকাই পড়ে ছিল। তবে চেক রিপাবলিকের বাসিন্দা ভিট জাডলিচকা সেখানে গিয়ে এটিকে লিবারল্যান্ড নাম দিয়ে নতুন দেশ ঘোষণা করেন। এই দেশের কোন বাধ্যতামূলক কর নেই, বন্দুক নিয়ন্ত্রণের আইন নেই। দেশের মুদ্রা বিটকয়েন। তার বান্ধবী আর এক বন্ধু যুগল তাকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন।
অনলাইনের মাধ্যমে নতুন দেশের নাগরিকদের বাছাই করতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু এরপরেই তাকে আটক করে ক্রোয়েশিয়ার সরকার। যারাই সেখানে প্রবেশের চেষ্টা করেছে, তাদের পুলিশ আটক করেছে। এখন নতুন প্রেসিডেন্টকেও এই ভূখণ্ডের আশেপাশে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া।
তাই বলে হাল ছাড়ার পাত্র নন মি. জাডলিচকা। তিনি ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট ছাপিয়েছেন। বিশ্ব জুড়ে লিবার্টিয়ান সম্মেলন গুলোয় যোগ দিচ্ছেন। দেশের মন্ত্রী আর বিদেশে প্রতিনিধিদের নিয়োগ করেছেন।
যদিও বিশ্বের কোন দেশের স্বীকৃতিই তিনি পাননি। তাই বলে প্রেসিডেন্ট পরিচয়ে লিবারল্যান্ডারদের সম্মেলনে যেতে তো আর তার বাধা নেই।
এখন ক্রোয়েশিয়ার আদালতে তার একটি মামলা চলছে। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, ক্রোয়েশিয়ার সীমান্ত চিহ্নিত করার পর তাকে যেন তার দেশ লিবারল্যান্ডে যেতে দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। সেই মামলার শুনানি চলছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা