মঙ্গলবার , ২৬ নভেম্বর ২০১৯ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাগমারায় বেড়েই চলেছে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম

Paris
নভেম্বর ২৬, ২০১৯ ৯:০৭ অপরাহ্ণ

বাগমারা প্রতিনিধি:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাচাঁ বাজার দ্রব্যের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কাচাঁ বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে আরেক দফা। ৫০ টাকা কেজির নীচে কোন সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এতে করে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের প্রথম ভারি বৃষ্টি হওয়ার শুরু থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম হুট করে বাড়তে শুরু করে। ক্রেতাদের অভিযোগ, কাঁচাবাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেক বেশি। মধ্যবিত্তদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মাছের দাম একটু কমলে সাধারণ ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হয় না। কিন্তু এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে কাচাঁ বাজারে।

গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এসব চিত্র উঠে এসেছে। দেখা গেছে, পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি । তবে খুব কম ক্রেতাকেই এক সাথে এক পোয়া পেয়াজ কিনতে দেখা গেছে। ক্রেতারা ১০০ গ্রাম করে কিনছেন। বাজারে নতুন আলু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ১৬ টাকা, পুইশাক ৩০ টাকা কেজি, ভেন্ডি ৪০ টাকা কেজি, পটল ৫০ থেকে ৬০ কেজি, করলা ৬০ টাকা কেজি, কচু ৫০ টাকা আদা ১৮০ টাকা কেজি, রসুন ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। এমনকি মূলার দামও বেড়েছে দ্বিগুন হারে । ১৫ টাকা কেজি দরের মূলা এখন ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য সবজির দাম বেড়েছে দ্বিগুণ হারে । সবজি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শীতের সবজি পুরোদমে না আসায় এবং বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। অনেক দোকানীরা বলছেন, পাইকারি বাজারেই বাড়তি দাম । তারা বেশি দামেই কিনছেন এবং সামান্য লাভে বিক্রি করছেন। তাই খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে সাধারণ ক্রেতারা প্রশাসনকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবি জানান; যাতে কেউ সিন্ডিকেট করে প্রয়োজনী সবজির দাম না বাড়াতে পারে। সে জন্য নজরদারির আহ্বান জানান সাধারণ ক্রেতারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, প্রতিবছর এই সময়টা সবজির দাম কিছুটা বাড়তি থাকে। তবে শীতের সবজি পুরোদমে ওঠা শুরু হলে দাম কমে আসবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ জানান, শুধু সবজি নয় সকল পণ্যের দাম কী পর্যায়ে রয়েছে তা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও অসঙ্গতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

স/শা

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর