রবিবার , ৪ আগস্ট ২০১৯ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ডেঙ্গু আতঙ্কে বেড়েছে মশক নিধন জিনিসের দাম

Paris
আগস্ট ৪, ২০১৯ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক সবখানে। তাই মশা থেকে রক্ষা ও নিধনের জিনিসপত্রে দামও বেড়েছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ কেউ তৈরি করেছে কৃত্রিম সঙ্কটও। সরবারহ নেই এমন অজুহাতে বাড়ানো হয়েছে দাম। রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া শরীরে লাগানো ‘অডোমক্স’ নামের ক্রীম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না এমনটি জানায় ব্যবসায়ীরা। তবে বাজার ঘুরে এর সত্যতা মেলে।

ডেঙ্গু জ্বরকে কেন্দ্র করে বিক্রি বেড়েছে মশারী, কয়েল, বিভিন্ন অ্যারাসল ইত্যাদি জিনিসের দামও। বিক্রেতাদের অভিযোগ সরবারহ কম। ক্রেতাদের দাবি কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে ব্যবসায়ীরা বাড়িয়েছে জিনিসপত্রের দাম।

নগরীর সাহেব বাজারের রাকিব বস্ত্রাণালয়ে মশারি কিনতে এসেছেন উপশহর এলাকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘অতঙ্গে নয়, মশারি প্রয়োজন। মশার কামড় থেকে রক্ষার জন্য মশারি কিনেছি। তিনি বলেন, আমাদের সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশে-পাশে ও ফুলের টবে জমে থাকা পানি পরিস্কার রাখতে হবে।

জোনাকী বস্ত্রাণালয়ের বিক্রেতা জুম্মা সরকার বলেন, ভালো কোয়ালিটির মশারি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিঙ্গেল ১৮০ টাকা। এছাড়া ম্যাজিক মশারি ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আগের তুলনায় মশারি বিক্রি বেড়েছে। তবে দাম তেমন বােেড়নি। তবে ক্রেতারা বলছেন, বাড়ানো হয়েছে মশারির দাম। আগে মশারির চাহিদা থকলেও এতো ছিলো না। তাই হঠাৎ করে মশারির চাহিদা বাড়ায় দাম বাড়িয়েছন ব্যবসায়ীরা।

নগরীর সাহেববাজার এলাকার ওষুধ ও কসমেটিক্সের দোকানগুলোতে মলিছেনা মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া শরীরে লাগানো ‘অডোমক্স’ নামের ক্রীম। ব্যাবসায়ীরা বলছেন, বেশ কিছুদিন থেকে বাজারে নেই এই ক্রীম।

বাজারে বেড়েছে কয়েলের দাম। কয়েলের প্যাকেট প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বর্তমানে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কয়েলের প্যাকেটগুলো। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকায় অনেক কয়েলের চাহিদা। তাই কোম্পানিগুলোর বিক্রি শেষে রাজশাহীতে আসছে কয়েল। তবে সেই রকমের সঙ্কট এখনো সৃষ্টি হয়নি। অর্ডার দিলে কয়েল পাওয়া যেতো, এখন দুই থেকে তিনদিন পরে কয়েক পাওয়া যাচ্ছে।

বাজারে কৃত্রিম সংকটে পড়েছে অ্যারাসল। সেই সুযোগে ব্যবসায়ীরা ৩৮০ থেকে ৪২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যারাসল। নগরীর উপশহর নিউ মার্কেট এলাকার কোন কোন ব্যবসায়ী ৪০০ থেকে ৪২৫ টাকা দরে বিক্রি করছে এসিআই কোম্পানির অ্যারাসল। যদিও পণ্যের গায়ে লেখা দামেও বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কোন বিক্রেতা ৩৭০ থেকে ৪০০ টাকা দামে বিক্রি করছেন।

আশরাফুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, কিছুদিন আগে সাড়ে ৩০০ টাকা পাওয়া যেত অ্যারাসল। কিন্তু দাম বাড়িয়ে ৩৭০ থেকে ৪১০ টাকায় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।

 

স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর