বুধবার , ৩ এপ্রিল ২০১৯ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

কাঁচা মরিচের গুড়া উদ্ভাবনে রাবি শিক্ষকের সাফল্য

Paris
এপ্রিল ৩, ২০১৯ ২:৩৪ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:

কাঁচা মরিচের গুড়া উদ্ভাবনে সাফল্য পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মনজুর হোসেন। দীর্ঘ দুই বছরের গবেষণায় তিনি এই গুড়া উদ্ভাবনে সক্ষম হন। কোনো ধরনের কেমিক্যালের ব্যবহার ছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে এ গুড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি এই গুড়ার নাম দিয়েছেন ‘গ্রিন চিলি পাউডার’। ইতোমধ্যে গুড়াটি বাজারজাতও করা হয়েছে। ক্রেতাদের সাড়াও মিলেছে সন্তোষজনক।

রান্না-বান্নার কাজে কাঁচা মরিচ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। কিন্তু বাংলাদেশে প্রায়ই কাঁচা মরিচের বাজার দর খুব চড়া হয়ে ওঠে। এমনকি কখনও কখনও প্রতি কেজি ২শ টাকাতেও বিক্রি হয়। ২০১৬ সালের শেষের দিকে মরিচের মূল্য বেশ বেড়ে যায়। মূলত ভাবনার শুরু সেখান থেকেই। কাঁচা মরিচের বিকল্প কিছু করা যায় কি না সে বিষয়ে ভাবতে শুরু করেন অধ্যাপক মনজুর হোসেন। ঠিক তখনই মাথায় আসে যখন কাঁচা মরিচের দাম কম থাকবে তখন বেশি করে কিনে তার গুড়া প্রস্তুত করলে অন্তত নি¤œ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের জন্য সুবিধা হবে।

সেই ধারণা থেকেই নেমে পড়েন কাজে। তার সঙ্গে ছিলেন জাপানের এক অধ্যাপক কিনজি টিসুজি। জাপানের মিয়োশি-আকাফুজি এন্টারপ্রাইজ কম্পানি লিমিটেডের সহযোগিতায় রাজশাহীর কাটাখালী এলাকায় অবস্থিত আলো আশা কমপ্লেক্সে শুরু হয় গবেষণা। কম্পানির ফ্যাক্টরি ম্যানেজার মজিবুর রহমানও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন।

দীর্ঘ দুই বছর গবেষণার পর তাঁরা ‘গ্রিন চিলি পাউডার’ উদ্ভাবনে সফল হন। মরিচকে কয়েকদিন রোদে শুকিয়ে ভেতরের বিচিগুলো আলাদা করা হয়। শুধুমাত্র সবুজ অংশটিই এই গুড়া তৈরির উপকরণ। এর রঙও কাঁচা মরিচের মতই সবুজ। কোন ধরনের কেমিক্যালের ব্যবহার না করায় গুড়ার গন্ধ ও স্বাদেও কোন পরিবর্তন হয়নি। আর এটা মানবদেহের জন্যও ক্ষতিকর নয় বলে স্বীকৃতি দিয়েছে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ। রান্নার সময় অন্যান্য গুড়ার মত নির্দিষ্ট পরিমাণ ছিটিয়ে দিলেই কাজ শেষ। ১শ গ্রাম গুড়া তৈরিতে প্রয়োজন পড়ে ১২শ গ্রাম কাঁচা মরিচ।

বেশ কয়েক মাস আগে প্রায় ৫শ কেজির মত গুড়া পরীক্ষামূলকভাবে রাজধানীর কয়েকটি সুপার শপে পাঠানো হয়। চাহিদা ভাল হওয়ায় বিভিন্ন মার্কেট থেকে গুড়াটির জন্য অর্ডারও পান উদ্ভাবকরা।

মজিবুর রহমান বলেন, আমার জানা মতে এই প্রথম আমরাই এ গুড়া উদ্ভাবন করেছি। ভবিষ্যতে মার্কেটে এর চাহিদা আরও বাড়বে এবং পণ্যটির রপ্তানিও সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।

অধ্যাপক মনজুর হোসেন গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেদককে বলেন, শুকনা মরিচের গুড়ায় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল মেশানো হয়। যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এতে আলসারের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। কাঁচা মরিচে যে পুষ্টিগুণ থাকে শুকনা মরিচে তা নেই। কাঁচা মরিচকে শুকিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে এ গুড়াটা তৈরি করা হয়েছে। এ গুড়াকে বাণিজ্যিকভাবে রপ্তানি করা গেলে দেশের জিডিপিতেও ভালো অবদান রাখবে বলে তিনি আশাবাদী।

স/জি

সর্বশেষ - শিক্ষা