সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
ভেনিজুয়েলার স্বঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট গুয়াইদো সেনাবাহিনীর উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদেরকে আমি অনুরোধ জানিয়েছিলাম মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করে জনগণের পক্ষে আসুন। আনন্দের কথা হচ্ছে আপনারা সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষ ত্যাগ করছেন। তবে এক দু’জন করে আসছেন। আজ (রবিবার) আপনাদের অনুরোধ জানাচ্ছি, সবাই একসঙ্গে মাদুরোকে ত্যাগ করুন। গতকালও সেনাবাহিনীর দু’জন সদস্য মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করেছেন জানিয়ে গুয়াইদো গোটা সেনাবাহিনীকেই পাশে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে রাজধানী কারাকাসে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। আগের কয়েকদিনের বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় গতকালও সেখানে নতুন করে হাজার হাজার লোক অংশ নেয়। তবে প্রেসিডেন্ট মাদুরোপন্থিরাও একটি অংশে অবস্থান নিয়ে তার পক্ষে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন দেশের স্বার্থে গুয়াইদোর পক্ষে আসেন।
মাদুরোকে নতুন নির্বাচন দেয়ার যে আহ্বান জানিয়েছিলেন গুয়াইদো, তার জবাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছেন মাদুরো। তবে এই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন গুয়াইদো। মাদুরো গতকালও দাবি করেছেন, সেনাবাহিনীর সমর্থন রয়েছে তার প্রতি। যারা তার পক্ষ ত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন তাদের দেশবিরোধী হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি।
মাদুরো ও গুয়াইদো উভয়েই নিজেকে ভেনিজুয়েলার বৈধ শাসক বলে দাবি করছেন। তাদের এই দাবির পক্ষে সামরিক নেতা, রাজনৈতিক নেতা, বিক্ষোভকারী ও বিদেশি সরকারও জড়িয়ে পড়েছে। ফলে গোটা শাসনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে দেশটিতে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো বিদেশি শক্তিগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নেয়ায় পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গত মাসে। এক পর্যায়ে বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুয়াইদো নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। জনগণের বিপুল সংখ্যক অংশ তাকে সমর্থন দিয়েছেন। সেই সাথে খুব দ্রুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ল্যাটিন আমেরিকান কয়েকটি দেশেরও সমর্থন লাভ করেন তিনি। কিন্তু সেনাবাহিনী এখনো সঙ্গে থাকায় মাদুরো নিজেকে চেয়ার ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ বিপক্ষে গেলেও চীন ও রাশিয়াও মাদুরোর পক্ষে।