মঙ্গলবার , ২৮ আগস্ট ২০১৮ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

বাঘায় বায়োগ্যাসে চলছে রান্না, জ্বলছে বাতি, উৎপাদিত হচ্ছে জৈব সার

Paris
আগস্ট ২৮, ২০১৮ ১১:১৩ অপরাহ্ণ

আমানুল হক আমান, বাঘা:

রাজশাহীর বাঘায় এক যুবকের তৈরী করা বায়োগ্যাসের মাধ্যমে চলছে বাড়ির যাবতীয় রান্নার কাজ। এছাড়া জ্বলছে বাতি ও তৈরী হচ্ছে জৈব সার।
বাঘা উপজেলার আড়ানী হামিরকুড়া গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে কামরুল হাসান রিপন নামের এক যুবক গ্রীনলাইট বায়োগ্যাস লিমিটেড নামকরণ করে দুই বছর আগে থেকে এর কার্যক্রম শরু করেন। তিনি বর্তমানে এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

কামরুল হাসান রিপন এ্যারোলাইট বায়োগ্যাস প্রকল্পে চাকরিরত অবস্থায় বায়োগ্যাস উৎপাদনে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পরবর্তীতে নিজ বাড়িতে এসে গরুর গোবর সংগ্রহ করে নিজ পরিশ্রমে বায়োগ্যাস উৎপাদন করে সফলতা অর্জন করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

বর্তমানে কামরুল হাসান রিপনের তত্ত্বাবধানে প্রায় বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক পরিবার গরু গোবর থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদন করে নিজ নিজ বাড়ির যাবতীয় রান্না-বান্নার কাজ চালাচ্ছেন। এছাড়া এ বায়োগ্যাস থেকে জ্বলছে বাতি ও তৈরী হচ্ছে জৈব সার। এ সার এলাকার জমিতে ব্যবহার করে হচ্ছে কৃষকরা উপকৃত। তিনি জৈব সার বাজারজাতকরণের জন্য প্যাকেটের অনুমতির অপেক্ষোয় রয়েছে। এই অনুমতি পেলে জৈব সার বাজারজাত শরু করবে। গ্রীনলাইট বায়োগ্যাস লিমিটেড এর কার্যক্রম চলছে রাজশাহী ও টাঙ্গাইলে।

এ ব্যাপারে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল হাসান রিপন বলেন, ইতিমধ্যে আমার বাড়িতে বায়োগ্যাসের মাধ্যমে রান্নার কাজ ও বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। আট থেকে ১০টি গরুর গোবর থেকে দুইটি বাড়ির সকল রান্না শেষে প্রতিদিন চার ঘন্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাড়ির টিভি, ফ্যান, আলো, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে। একটি বায়োগ্যাস প্রকল্প হতে বাড়ির রান্নার কাজসহ বিদ্যুতের চাহিদা শেষে ডাস্ট গোবর বের হয়। এই ডাস্ট গোবর পরিপূর্ণ জৈব সার হিসেবে জমিতে বাজার জাত করার প্রত্রিয়া শরু হয়েছে। এই জৈব সার ফসল উৎপাদনে বিশেষ চাহিদা পূরণ করবে। গ্যাস ও বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য দেশের প্রতিটি গ্রামে গরুর গোবর থেকে সৃষ্ট এই বায়োগ্যাস প্ল্যাান্ট তৈরি করে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং জৈব সারের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
রাসায়নিক কীটনাশক জমিতে ব্যবহার না করে এই ডাস্ট গোবর উৎকৃষ্ট মানের জৈব সার হিসেবে জমিতে প্রয়োগ করে অধিক চাহিদা পূরণ করাও সম্ভব।

ইতিমধ্যে পরিক্ষামূলকভাবে জৈব সার প্রস্তুত করে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বায়োগ্যাস উৎপাদনের এ প্রকল্প থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেশের বিদ্যুৎ খাতেও অবদান রাখার স্বপ্ন দেখছেন এই যুবক।

স/শা

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর