সোমবার , ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ; শাহ আবদুল করিমের সমাধি সংস্কারের অর্থও মিলছে না!

Paris
সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৬ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শাহ আবদুল করিমের উজানধল গ্রামে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রতি বছর এসব কর্মসূচি পালিত হয় শিল্পীর পরিবার ও তার ভক্ত-শিষ্যদের উদ্যোগে। সরকার কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতা পান না তারা। এমনকি অর্থের অভাবে বাউলসম্রাটের সমাধি সংস্কারের কাজটিও হচ্ছে না।

গাড়ি চলে না, চলে না, চলে না রে, গাড়ি চলে না, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম কিংবা ঝিলমিল ঝিলমিল করে রে ময়ুরপঙ্খী নাও- এমন অনেক জনপ্রিয় বাউল গানের জনক শাহ আবদুল করিম।

শাহ আবদুল করিমের ছেলে নুর জালাল বলেন, ‘বাড়িতে আসার একমাত্র সড়কটি সংস্কার না করায় দর্শনার্থীদের আসতে খুব অসুবিধা হয়। থাকার জায়গা না থাকায় ভক্ত ও দর্শনার্থীদের রাত কাটাতে হয় নৌকায়। তাদের বাড়িতে একটি বসতঘরসহ চারটি ছোট ছোট ঘর ছাড়া আর কোনও ঘর নেই।’ নুর জালাল জানান, তিনি নিজস্ব অর্থায়নে মা-বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেন। এজন্য সরকারি- বেসরকারি কোনও সহযোগিতা পান না।

শাহ আব্দুল করিমের গান গাইছেন শিল্পীরাবাউল শাহ করিমের শিষ্য বাউল আব্দুর রহমান বলেন, ‘বাবা (শাহ আবদুল করিম) বলতেন, আমি যখন থাকবো না তখন দেখবে আমার শরীরের হাড় নিয়েও মানুষ ব্যবসা করবে। অবস্থাটা এখন তাই দাঁড়িয়েছে। শাহ আবদুল করিমের গান নিয়ে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা একটি টাকাও ভাগ পায় না। তাই করিমের সমাধি ও তার বাড়ি বেহাল দশায় রয়েছে।’

শাহ করিমের ভাগ্নে আবদুল তোয়াহেদ বলেন, ‘আবদুল করিমের গানের কথা ও সুর বিকৃত করে গাইলে আমাদের খুব কষ্ট লাগে। করিম নিজেও তার গান বিকৃত করে গাইলে রাগ করতেন। তিনি বলতেন, এটা প্রচার নয় অপপ্রচার। এটি করার থেকে না করাই ভালো।’

বাউল শিষ্য নুরুননেচ্ছা বলেন, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে করিমের বাড়িতে শত শত ভক্তের আগমন ঘটে। কিন্তু জায়গা ও ঘর না থাকায় তারা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান।’

আরেক শিষ্য মাহমুদা বলেন, ‘বর্ষাকালে চারদিকে থৈ-থৈ পানি থাকে। শাহ আবদুল করিমের বাড়িতে আঙিনা ছাড়া আর কোনও জায়গা নেই। অনুষ্ঠান করার জন্য কোনও মিলনায়তনও নেই। তার বিভিন্ন সম্মাননা ও স্বীকৃতি সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণ করতে না পারায় নষ্ট হচ্ছে।’

দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘শাহ আবদুল  করিমের স্মৃতি সংরক্ষণ ও তোরণ নির্মাণের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

১৯১৬ সালে উজানধল গ্রামের এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহ আব্দুল করিম। মৃত্যু হয় ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টম্বর। আফতাব সঙ্গীত ও গণসঙ্গীত ছাড়াও সঙ্গীতের নানা ক্ষেত্রে বিচরণ ছিল তার। স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসহ দেশ-বিদেশে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

সর্বশেষ - বিনোদন