শনিবার , ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

নিখোঁজদের খোঁজে ট্যাম্পাকোর সামনে স্বজনদের ভিড়

Paris
সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬ ৪:৪৬ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :

‘আমি এখন কি নিয়া বাঁচমু…আমার পোলাডারে আমার কাছে আইনা দেন…আমার পোলার চকরি করনের কোনো কাম নাই।’

 

আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন ৬০ বছর বয়সি ময়মুনা খাতুন। টঙ্গীর বিসিক শিল্প নগরীর ট্যাম্পাকো নামের প্রতিষ্ঠানে মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন তার ছেলে মাহিদুল ইসলাম (৩০)।

 

ময়মুনা খাতুন  জানান, রাতের শিফটে কাজ করার জন্য মাহিদুল কারখানায় এসেছিলেন। এরপর আর ফোনেও কথা হয়নি। সকালে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তিনি কারখানার সামনে আসেন। এখন ছেলেকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন। ছেলের ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

 

তিনি বলেন, ‘মাহিদুল আমার একমাত্র সন্তান। তার কিছু হলে আমি কীভাবে বাঁচব। আমি আমার সন্তানের খোঁজ চাই।’

 

শুধু ময়মুনা খাতুন নয়, ট্যাম্পাকো কারখানায় কাজ করতেন এমন বহু কর্মীর পরিবার তাদের সন্তান, স্বজনের খোঁজে ভিড় জমাচ্ছেন ঘটনাস্থলে। আকুতি জানাচ্ছেন সাংবাদিক, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কাছে।

 

নাফিসা বেগম জানান, তার স্বামী সোলায়মান (৩০) কারখানায় স্টোরকিপার হিসেবে কাজ করতেন। চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় সোলায়মান কাজ করতেন। সকাল থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। হাসপাতালেও তার লাশের কোনো সন্ধান নেই।

 

নাফিসা জানান, হাসপাতালে একজন সোলাইমানের লাশ আছে। কিন্তু সেটা তার স্বামী না। কারণ ওই ব্যক্তির মুখে দাড়ি আছে।

 

ওই প্রতিষ্ঠানের মেশিন অপারেটর নাসির পাটোয়ারিকে (৫০) খুঁজতে সকাল থেকেই কারখানার সামনে অবস্থান করছেন ছোট ভাই মাসুম পাটোয়ারি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘ভাইকে জীবিত পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন যদি সাংবাদিকরা সাহায্য করে আমার ভাইকে খুঁজে দেন তাহলে অন্তত ভাইয়ের লাশটা দেখতে পারব।’

 

শনিবার ভোর পৌনে ৬টায় টঙ্গীর বিসিক শিল্পনগরীর ট্যাম্পাকো কারখানায় আগুন লাগে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সকাল ৬টা থেকে কাজ করছে। এ পর্যন্ত টঙ্গী ৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও  ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক)  হাসপাতালে ২৩ জন মারা গেছে। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক।

 

ফায়র সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এখন পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন তাদের মৃত্যুর কারণ বয়লার বিষ্ফোরণ ও ভবন ধস। তবে ভেতরে আরো আগুনে দগ্ধ মরদেহ আছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে ফায়ার সার্ভিস।

 

 

সূত্র :রাইজিংবিডি

 

সর্বশেষ - জাতীয়