সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:
বাংলাদেশে জাল টাকা তৈরিতে ভারতের কিছু লোক জড়িত। এরা জাল টাকা তৈরি করায় দক্ষ। এ ছাড়া জাল টাকা তৈরি করার জন্য ভারত থেকে আনা হচ্ছে নিরাপত্তা সুতা। টাকায় ব্যবহার করা বঙ্গবন্ধুর ছবির অবিকল জল ছাপ ও টাকার বিভিন্ন রেখাগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে অবিকলভাবে।
আজ বৃহস্পতিবার র্যাব ১-এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, র্যাব ১-এর অধিনায়ক (সিও) কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঈদের সময় কোরবানির হাটকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে ওঠে জাল টাকা তৈরি করার সিন্ডিকেট। তাই আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বদা নজর থাকে এই বিষয়টির ওপর।’
কর্নেল মাসুদ জানান, গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী ও জুরাইন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জালনোট তৈরিকারী সিন্ডিকেটের পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে ৭৮ লাখ জাল টাকার ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট জব্দ করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, ফাতেমা বেগম (৩৫), রুবিনা বেগম (২৪), আব্দুর রশিদ (৬৫), দুলাল (৩০) ও সারোয়ার হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আটক আব্দুর রশিদ ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক জুনিয়র অফিসার। মূলত রশিদের বাসার ছাপাখানাতেই তৈরি করা হচ্ছিল জাল টাকা। রামপুরা থানা এলাকার দক্ষিণ বনশ্রীর ১০/৪ নম্বর সড়কের এফ/৭৭ নং বাসায় র্যাব অভিযান চালিয়ে ফাতেমা ও রুবিনাকে আটক করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের জুরাইন থেকে আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রশিদ জানান, তিনি ১৯৯৫-৯৬ সালের দিকে অগ্রণী ব্যাংকের জুনিয়ার অফিসার পদে চাকরি করতেন। দুর্নীতির কারণে তার চাকরি চলে যায়। পরে তিনি প্রেসের ব্যবসা শুরু করেন। ওই প্রেসেই ভারতীয় জালনোট ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের সাথে তাঁর পরিচয় হয়। উভয়ে মিলে এই জালনোট তৈরির কাজ শুরু করেন। আর জালনোট তৈরির জন্য ভারতীয় অনেক সরঞ্জাম সরবরাহ করতেন নুরুজ্জামান।
সূত্র:এনটিভি