বুধবার , ১৪ মার্চ ২০১৮ | ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়া ইউপি নির্বাচন: ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা

Paris
মার্চ ১৪, ২০১৮ ৮:০৯ অপরাহ্ণ

মইদুল ইসলাম মধু:
নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ও শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন হতে চলেছে চলতি মাসের ২৯ তারিখ। এনিয়ে দুই ইউনিয়নের ভোটারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ উদ্দীপনা। দীর্ঘদিন পর দুটি ইউনিয়নের ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ পেয়েছেন।

থেমে নেই নির্বাচনে অংশ নেয়া চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ও সাধারন সদস্য পদপ্রার্থীরা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তারা। ভোটারদের মন জয় করতে দিয়ে চলেছেন নানা প্রতিশ্রুতি। সীমানা সংক্রান্ত জটিলতায় উচ্চ আদালতে রিট আবেদন থাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর দুটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি ফলে অতিরিক্ত দায়ীত্বে থাকা চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারী সারা দেশের ৫৫ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন এর মধ্যে ভালুকগাছি ও শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। এর আগেও দুবার তফসিল ঘোষনা হয় এ দুটি ইউনিয়নে কিন্তু উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করায় নির্বাচন স্থগিত হয়। তৃতীয় তফসিলে এসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দুটি ইউনিয়নে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ১৩ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের মাঝে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রতিক নিয়ে তারা এখন ভোটারদের সমর্থন আদায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ও সাধারন সদস্য মিলে সর্বমোট ১২০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।

দীর্ঘদিন পর নির্বাচনী হাওয়া বইতে থাকা ইউনিয়ন দুটিতে যোগ হয়েছে বাড়তি উম্মাদনা দলীয় সর্মথনের পাশাপাশি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা পেয়েছেন দলীয় প্রতিক। ভালুকগাছি ও শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে বড় দু’দল আ’লীগ ও বিএনপি একক প্রার্থী ঘোষনা করেছেন। বসে নেই ছোট দলগুলোও তারাও তাদের দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।

ভালুকগাছি ইউনিয়নে ৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। দলীয় সমর্থন পেয়ে নৌকার মাঝি হয়েছেন তাকবীর হাসান এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ধানের শীষ নিয়ে মাঠে রয়েছেন তৌহিদুল ইসলাম। এ ইউনিয়নে বিএনপির একক প্রার্থী থাকলেও দলের একাধীক বিদ্রোহী প্রার্থী ও ২০ দলীয় জোটের শরীক দল জামায়াতের প্রার্থী রয়েছে। এরা হলেন, বিএনপি বিদ্রোহী সতন্ত্র নাজমুল গনি পিন্টু (ঘোড়া) ও শাহজাহান আলী (আনারস) জামায়াত সর্মথিত সতন্ত্র মঞ্জুর রহমান (চশমা) এবং সতন্ত্র প্রার্থী মাইনুল ইসলাম তোতা (মোটরসাইকেল) ফলে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে আ’লীগের প্রার্থী তাকবীর হাসান।

এ দিকে শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। তারা হলেন, আ’লীগ মনোনিত নৌকা প্রতিকে সাজ্জাদ হোসেন মুকুল, বিএনপি মনোনিত ধানের শীষ প্রতিকে আসাদুজ্জামান আবু হায়াত ও ওয়ার্কাস পার্টির হাতুরি প্রতিকে আজাহারুল ইসলাম। ইউনিয়নটিতে আ’লীগ মনোনিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুকুল দীর্ঘদিন চেয়ারম্যানের দায়ীত্ব পালনের ফলে তার বিরুদ্ধে সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে ভোটারদের। এছাড়াও ভোটারদের ধারনা বার বার নির্বাচন স্থগিতের সঙ্গে তিনি জড়িত রয়েছেন ফলে সাধারন ভোটাররা অনেকটাই ক্ষিপ্ত সাজ্জাদ হোসেন মুকুলের ওপর।

অপর দিকে নির্বাচন হওয়ার ব্যপারে অনেক অবদান রয়েছে হায়াতের তাই অনেকটা ভালো অবস্থানে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী আবু হায়াত। সে হিসেবে ইউনিয়নটিতে নৌকার শক্ত প্রতিপক্ষ হবে ধানের শীর্ষ। তবে বিজয়ীর ব্যপারে আশাবাদী সকল প্রার্থীই। ভোটাররাও বলছেন যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান তারা।
স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর