শুক্রবার , ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরি
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

১৮ লাখ অভিবাসীর নাগরিকত্ব প্রশ্নে ট্রাম্পের ২৫ বিলিয়ন ডলারের বাজি!

Paris
জানুয়ারি ২৬, ২০১৮ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত ১৮ লাখ অভিবাসীকে নাগরিকত্ব নিশ্চিতে একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে হোয়াইট হাউস। তবে এ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে বাজিতে নেমেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলছেন. ডেমোক্র্যাটরা যদি আসছে বাজেটে প্রতিবেশী মেক্সিকোর সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণে ২৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ দিতে সম্মত থাকে, তবেই কেবল অভিবাসীদের নাগরিকত্বের প্রশ্নটি তিনি বিবেচনায় নেবেন। দুই কক্ষবিশিষ্ট মার্কিন পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে উচ্চ কক্ষ সিনেটে কোনও আইন পাস করতে গেলে যে পরিমাণ ভোট দরকার হয়, তা রিপাবলিকনাদের নেই। এজন্য আইন প্রণয়নে তাদের ডেমোক্র্যাটদের দারস্থ হতে হয়।  

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের সামাজিক সুরক্ষায় ওবামা ঘোষিত ‘ড্রিমার কর্মসূচি’ পরিচালনায় বরাদ্দ অর্থ নিয়ে বিভক্ত ছিল মার্কিন সিনেট। ওই কর্মসূচির আওতায় থাকা সাত লাখ তরুণ-তরুণীর ব্যাপারে কোনও স্থায়ী সমাধানকে সমঝোতার শর্ত হিসেবে তুলে ধরেছিল ডেমোক্র্যাটরা। এ নিয়ে মতানৈক্যের কারণেই ডেমোক্র্যাট সিনেটররা প্রথম ধাপে সমঝোতায় অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। এর ফলাফল হিসেবে ৩ দিন শাট ডাউনে থাকে মার্কিন সরকার। তবে রিপাবলিকান নেতা ম্যাককনেলের দেওয়া ভবিষ্যত বিতর্কের মৌখিক প্রতিশ্রুতির বিপরীতেই সোমবার সরকার সচলে ডেমোক্র্যাট সিনেটররা অস্থায়ী বাজেট পাসে সম্মত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার এক কনফারেন্স কলে হোয়াইট হাউসের এই অভিবাসন পরিকল্পনার কথা জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ একজন সহযোগী। আগামী সোমবার এ সংক্রান্ত বিল কংগ্রেসে উত্থাপনের কথা রয়েছে। বিলে ওই সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণের জন্য আড়াই হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ চাওয়া হবে। অবশ্য গত সপ্তাহেই ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার প্রাচীর নির্মাণে অর্থায়নের বিরোধিতা করার ঘোষণা দেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় থেকেই অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তোলার কথা বলে আসছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাটরা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নির্বিচারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার বিরোধী। এ ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছে। ২০১৫ সালের এক হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে  অবৈধ অভিবাসী ১ কোটি ১০ লাখ। ট্রাম্পের ওই অভিবাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৮ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে মার্কিন নাগরিকত্ব দানে ১০ থেকে ১২ বছরের একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। ওই অভিবাসীদের মধ্যে রয়েছে প্রায় সাত লাখ ‘ড্রিমার’, যারা ছোটবেলায় অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অনুপ্রবেশ করেছিল। তারা সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলের ডেফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাভাইলস (ডাকা) কর্মসূচির অধীনে প্রত্যাবাসন থেকে রেহাই পেয়ে আসছে। বাকি ১১ লাখ হচ্ছে ‘ডাকা’র জন্য আবেদন করেনি, কিন্তু এর আওতাভুক্ত হওয়ার যোগ্য এমন অভিবাসী।

প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রচলিত দুটি অভিবাসন পদ্ধতি বাতিলও করতে চাইছেন। এর একটি হচ্ছে, চেইন ইমিগ্রেশন। যার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়া একজন অভিবাসী তার পরিবারের সব সদস্যকে (মা, বাবা, ভাই, বোন ও তাদের পরিবারের সদস্য) নিজের কাছে নিতে পারেন এবং তারা মার্কিন নাগরিকত্ব পান। ট্রাম্প এই পদ্ধতির ঘোর বিরোধী। তার নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, একজন নাগরিকত্ব পাওয়া অভিবাসী শুধু তার স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানদের যুক্তরাষ্ট্রে নিতে পারবে। এছাড়া, ট্রাম্প ডিভি লটারি পদ্ধতিটিও বাতিল করতে চান। বর্তমানে প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে এ লটারির মাধ্যমে ৫০ হাজার মানুষ গ্রিন কার্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরে ওবামা আমলের ‘ডাকা’ কর্মসূচিটি বাতিল ঘোষণা করে এ বছরের মার্চের মধ্যে নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তবে সর্বদলীয়ভাবে আইনপ্রণেতারা বিকল্প যেসব প্রস্তাব তার কাছে উপস্থাপন করেছেন, তার সবই তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। অভিবাসন নীতি নিয়ে কোনও সমঝোতা না হওয়ার জের ধরে গত সপ্তাহে শাটডাউনের (অর্থবিল পাস না হওয়ায় সরকারি কিছু দফতরে সৃষ্ট অচলাবস্থা) কবলে পড়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার।

 

বাংলাট্রিবিউন

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক