বৃহস্পতিবার , ৫ অক্টোবর ২০১৭ | ২৪শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পুঠিয়ায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে পাঠানো হলো রামেকে

Paris
অক্টোবর ৫, ২০১৭ ৪:০৯ অপরাহ্ণ

পুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে রাতভর গণধর্ষনের ঘটনায় ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্যাতিত ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় হাজির হয়ে ৮ জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঠিয়া থানার ওসি সায়েদুর রহমান ভূইয়া পিপিএম।

নির্যাতিত ওই গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের(রামেক) ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আজ দুপুর সোয়া দুইটার দিকে তাকে রামেকে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে এঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আটক ৭ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আগামীকাল শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হবে থানা সুত্রে জানা যায়।

তারা হলো, বড় কাজুপাড়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে নবির হোসেন (২৮) গোপালপাড়া গ্রামের মৃত মহররমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০) একই গ্রামের জাকের আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (৩৫) জহির উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪৩) আবু বাক্কারের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৭) আসকান উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৩) আবু সাইদের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫) ।

প্রসঙ্গত, রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বটতলা-কার্তিকপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত ওই গৃহবধু রাতেই থানায় এসে অভিযোগ করলে এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী জানান, গতকাল বুধবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি বাগমাড়া উপজেলার তাহেরপুরে বেড়াতে যায়। পরে রাত আনুমানি সাড়ে ৭ টার দিকে ভ্যানগাড়ী যোগে বাসায় ফিরছিলেন। পথেই বটতলা-কার্তিকপাড়া এলাকার মাঝামাঝি এলে আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের পুকুর চাষী নবির উদ্দিন, মিজান আলীসহ ৭-৮ জন ব্যাক্তি তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে জোরপূর্বক তাদের ভ্যান থেকে নামিয়ে পাশেই নবির উদ্দিন ও মিজানের একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়।

নির্যাতিত ওই নারী বলেন, আমাদের পথ আগলে যখন দাড়ায় নবির উদ্দিন ও মিজানসহ ৭-৮ জনের হাতেই ধারালো দেশিয় অস্ত্র ছিলো এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাদের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায় এবং চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। ৭-৮ জনের মধ্যে নবির উদ্দিন ও মিজান নামের দু’জনকে তিনি চিনতে পারেন। বাঁকিদের আগে কখনো দেখেননি বলেও জানান তিনি। এরপর ওই গৃহবধূকে সবাই মিলে ধর্ষণ করে।

 

স/শ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর