বুধবার , ১৪ জুন ২০১৭ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড়শো

Paris
জুন ১৪, ২০১৭ ১১:১২ অপরাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: অতি বর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের টেকনাফ এবং খাগড়াছড়িতে নিহতের সংখ্যা সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ১৪৭ জনে পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে রাঙামাটিতে। সেখানে ১০৪ জন নিহত হবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রাঙামাটি জেলা কর্তৃপক্ষ। মৃতদের মধ্যে মহিলা ও শিশু রয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে বিবিসি বাংলাকে বুধবার সকালে জানান, রাঙামাটিতেই নিহতের সংখ্যা দুইশো ছাড়িয়ে যাবার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

“এখন আলোও ফুটে উঠেছে। পানিও কমে যাচ্ছে। এখন হয়তো আরো মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হবে” -বলেন সুনীল কান্তি দে।

এর আগে রাঙামাটির পুলিশ সুপার জানান, নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর চার জন সদস্য রয়েছে। তারা মানিকছড়ি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।

ঢাকায় আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর দুজন অফিসার রয়েছে। এখনো কয়েকজন সেনা সদস্য নিখোঁজ আছে বলে তারা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ

অন্যদিকে পাহাড় ধসে বান্দরবানে ছয় জন এবং চট্টগ্রামে মোট ৩৪ জন নিহত হয়েছেন।

বুধবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে।

তবে এসব জায়গায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাঙামাটির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সেখানে মঙ্গলবারও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে।

ফলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন এলাকায় যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সস্পর্কে পরিষ্কার চিত্র পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার বিবিসিকে বলেন, প্রবল বর্ষণে ভূমি ধসের সাথে গাছপালা ভেঙ্গে পড়েছে।

জেলার অধিকাংশ জায়গায় কোন বিদ্যুৎ নেই। উদ্ধারকাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মি: কুমার।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবার এবং সোমবার টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী অনেক বাড়ি মাটি চাপা পড়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

সর্বশেষ - জাতীয়