নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন শিশু সন্তান


বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি :

নাটোরে দুই বাসের মুখো-মুখি সংঘর্ষে বাগাতিপাড়ার মিলি খাতুন (২৮) মারা গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন তার দুই বছরের কোলের শিশু সন্তান ও স্বামী। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া-হাটিকুমরুল-ঢাকা মহাসড়কের মহিষডাঙ্গা বাইপাস এলাকার গাজী অটো রাইস মিলের সামনে এই দূর্ঘটনার শিকার হয়ে তিনি মারা যান।

মিলি খাতুনের ছেলে মহিবুর রহমানকে (২) অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার স্বামী রফিকুল ইসলাম সামান্য আহত হয়েছেন। ওই দূর্ঘটনায় মিলি ছাড়াও আরও ৬জন নিহত এবং ২০জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। নিহত মিলি খাতুন বাগাতিপাড়ার গালিমপুর গ্রামের মৃত মাইনুল ইসলামের মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া পালপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। মিলির মৃত্যুতে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।

আহত রফিকুল ইসলামের বরাত দিয়ে মিলির পরিবারের সদস্যরা জানান, ঢাকা থেকে ন্যাশনাল ট্র্যাভেলস বাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন স্বামী-স্ত্রী ও দুই বছরের শিশু সন্তান। ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনার শিকার হয়ে মিলি মারা যান। দুর্ঘটনার প্রায় দুই মিনিট পূর্বেই কোলের শিশুকে মিলি তার স্বামী রফিকুলের কোলে দিয়েছিলেন। একই বাসে থেকেও অলৌকিকভাবে শিশু মহিবুর ও রফিকুল ইসলাম বেঁচে যান।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ন্যাশনাল ট্রাভেলস ও সিয়াম পরিবহন নামের দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে মিলি খাতুনও রয়েছেন। পরিচয় শনাক্ত করে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

এস/আই