তানোরে প্রকল্পের বাইসাইকেল স্কুল ঘরে অযত্নে অবহেলায়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউপির এলজিএসপি প্রকল্পের বাইসাইকেল শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ না করে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে স্কুলের ঘরে অযত্নে অবহেলায় রেখে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে কত মাস থেকে সাইকেল গুলো পড়ে আছে তা বলতে নারাজ প্রধান শিক্ষক। বাঁধাইড় ইউপির বহরইল বরেন্দ্র স্কুল ঘরে সাইকেল গুলো রাখার ঘটনা ঘটে রয়েছে । দীর্ঘ সময় পড়ে থাকায় ধুলো বালি ময়লা আবর্জনায় পুরাতনের মত দেখাচ্ছে। এতে করে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শুধু শিক্ষার্থী না শিক্ষক ও অভিভাবক মহলেও এমন কান্ডে ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধেও বইছে সমালোচনা। কারন তিনি সভাপতি হওয়ার পর নাকি বিতরণ করবেন সাইকেলগুলো।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাধাইড় ইউপির বহরইল বরেন্দ্র স্কুলের অফিস কক্ষের সাথে লাগানো আরেকটি কক্ষে অন্তত ১৫/২০ টির মত বাইসাইকেল দেখা যায়। সাইকেল গুলো অযত্নে অবহেলায় একটির উপর আরেকটি পড়ে আছে। কতদিন আগে থেকে আছে তারও সঠিক হিসেব নেই। আবার অনেক সাইকেলের টায়ারে পাম নেই। ছিট ঝুড়ি গুলোর রং আলাদা হয়ে গেছে।

এলজিএসপি প্রকল্প থেকে সাইকেল গুলো কিনে রেখেছেন বাধাইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান । তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে দিবেন বলে রেখেছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান রহস্য জনক কারনে সেই সাইকেল বিতরণ না করে ফেলে রেখেছেন। কতদিন আগে থেকে ফেলে রাখা হয়েছে তা কেউ বলতে সাহস পান নি। চরম অযত্নে অবহেলায় পড়ে রয়েছে।

প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এলজিএসপি প্রকল্প থেকে সাইকেল দিয়েছেন। বিতরণ না করে রাখা হয়েছে কিসের জন্য জানতে চাইলে তিনি জানান, চেয়ারম্যান এই স্কুলের সভাপতি হওয়ার পর বিতরন করবেন। এজন্য রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কমিটির অনুমোদন অল্প দিনের মধ্যেই হবে। তবে কতদিন আগে দেওয়া হয়েছে এসব বিষয়ে কিছুই বলতে চান নি তিনি।

শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, শিক্ষার্থীদের সাইকেল দেওয়া হবে অনেক আগে থেকেই শুনে আসছি। কিন্তু সাইকেল কেনার পর না দিয়ে ঘর বন্ধি করে রাখা মোটেও সঠিক কাজ না। কারন এটি প্রকল্পের টাকায় কেনা। আর একজন চেয়ারম্যান প্রকল্প থেকে সাইকেল দিয়ে তিনি সভাপতি হলে বিতরণ করবেন তার আগে করবেন না। এটাতো বোকামি ছাড়া কিছুই না। চেয়ারম্যান প্রকল্পের টাকায় কিনে, তিনিই বিতরণ করবেন। তাকে সভাপতি হওয়ার পর বিতরন করতে হবে এটা কেমন কথা, তাহলে বুঝতে হবে এর মধ্যে কোন কিছু আছে। তিনি তো দুবারের চেয়ারম্যান, তারমত ব্যক্তির এমন কাজ শোভা পায় না। এই স্কুলে কি এমন মধু আছে, এর আগে তার ভাই সভাপতি ছিলেন, এবার তিনি হবেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, সাইকেল বিতরণের জন্য শুধু তালিকা হয়। কয়েকবার তালিকা করা হয়, আর সংশোধন চলে। সরকারের উপহারের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সাইকেল। আর সেটাও নিয়ে চলছে নানান কিছু। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে নানান কিছু।

স্হানীয়রা জানান, এসব সাইকেলে কয়েক প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করা হবে। একটি সাইকেলের কত দাম ধরা হয়েছে সেটাও বলা মুশকিল। কেনা নিয়ে তো আছে অনিয়ম। আসলে ক্ষমতা থাকলে যা হয় আর কি। আর এসব কারণে দলের হয় বদনাম।

এসব বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার জানা নেই, মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলছি।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিকুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান আমি গাড়ির উপরে আছি, এটা চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন।

এএইচ/এস