শর্ত জুড়ে দিয়ে হোয়াইট হাউস ছাডার ঘোষণা ট্রাম্পের

নির্বাচনের আগে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার পাত্র হয়েছেন ট্রাম্প। ভোটের পরও একের পর এক মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন তিনি। সেই ট্রাম্প এবার ট্রাম্প ঘোষণা দিলেন ইলেকটরাল কলেজ যদি জো বাইডেনকে নির্বাচিত করে তাহলে তিনি হার স্বীকার করে নেবেন। তবে “যতদিন না সেটা হচ্ছে, আইনি লড়াই তিনি ছাড়বেন না।”

প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর আমেরিকায় অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২টি। জিততে হলে প্রয়োজন হয় ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের। সেখান থেকে ট্রাম্প এখনও বহুদূর।

নিয়মানুযায়ী আগামী ১৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা। ট্রাম্প ভোটে হেরে গেলেও নির্বাচনে অসঙ্গতির অভিযোগ এনে বিভিন্ন রাজ্যে মামলা ঠুকেছেন।

অনেক দিন পর আবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন ট্রাম্প। তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি কি আদৌ হোয়াইট হাউস ছাড়বেন। ট্রাম্প বলেন, হেরে গেলে অবশ্যই ছেড়ে দিব।  তবে ইলেকটরাল কলেজ যদি বাইডেনকে জেতায় তাহলে তারা ভুল করবে।

তবে তিনি যে সেটা কষ্ট হলেও মেনে নেবেন সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি যা অনেককে আশ্বস্ত করবে।

বাস্তবতা হল যে, ইলেকটরাল কলেজে ৩০৬-২৩২ ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছেন ট্রাম্প। প্রায় ৫০ লাখ ভোট তিনি বাইডেনের থেকে কম পেয়েছেন তিনি।

আমেরিকানরা সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেন না। ৫০টির মধ্যে ৪৮টি রাজ্যের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, যে বেশি ভোট পেয়েছে তার খাতায় চলে যাবে সেই রাজ্যেই ইলেকটররা। এই ইলেকটররা মিলেই ইলেকটরাল কলেজ তৈরি করে। সাধারণত এই প্রক্রিয়াটি নেহাতই নিয়মরক্ষার হয়। মানে যিনি বেশি ভোট পেয়েছেন তাকেই মনোনীত করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ইলেকটররা। এই প্রক্রিয়াকেই এখন কিছু করে রুখতে চাইছেন ট্রাম্প। ছোটোখাটো অসঙ্গতিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখিয়ে একের পর এক আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইলেকটররা যাতে প্রথামতো কাজ না করে, সেই প্রচেষ্টাও চলছে। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন