ফনির প্রভাবে রাজশাহীতে ঝড়ো হাওয়া শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাবে রাজশাহীতে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই রাজশাহীতে ঝড়োর হাওয়া বইতে শুরু করে। তবে সকাল আটটটার পর থেকে ধিরে ধিরে বাতাসের গতিবেগ বাড়তে থাকে।

এদিকে ফনির প্রভাবে রাজশাহীতে গতকাল শুক্রবার থেকে বৃষ্টি ঝরছে। রাতেও মুষলধারে বৃষ্টি ঝরে।

শনিবার সকাল ৯ টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত ছিল। পাশাপাশি বাতাসের গতিবেগ বাড়তে থাকে।

এদিকে ভারতীয় অংশ থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণী অগ্রসর হতে হতে বাংলাদেশের স্থলভাগ খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, কুষ্টিয়া – এ অঞ্চল দিয়ে এর কেন্দ্রটি প্রবেশ করতে আরও ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। অর্থাৎ শুক্রবার রাত শেষে শনিবার বেলা ১১টা অথবা ১২টার দিয়ে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রটি পৌঁছতে পারে। রাজশাহী ও রংপুর কেন্দ্রের আশপাশের অঞ্চল হিসেবেই পড়বে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।

ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে কতক্ষণ অবস্থান করবে জানতে চাইলে শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) সারাদিন লেগে যাবে। বিকালের পরে হয়তো বাংলাদেশ অতিক্রম করে এটি আরও উত্তরে চলে যাবে।’

‘এটি প্রবেশের সময় ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই প্রবেশ করবে। ঘূর্ণিঝড় হিসেবে প্রবেশ করে, তারপর এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করবে’- যোগ করেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রবেশের পর ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।’

ফণীর আঘাতে বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতি হলেও ভারতের তুলনায় কম হবে বলেও জানান শামসুদ্দিন আহমেদ।

ক্ষয়ক্ষতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘দু-চারদিন আগে আমরা ঘূর্ণিঝড়ের যে ভয়াবহতা আশঙ্কা করেছিলাম, ভারতের স্থলভাগের ওপর দিয়ে না আসলে এর ক্ষয়ক্ষতি হয়তো আরও বেশি হতো। অন্যদিকে আমাদের প্রস্তুতি একেবারে পরিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সবাইকে সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাটা সর্বোচ্চ পর্যায়ের রয়েছে। এ কারণে ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। হয়তো বা একেবারে ক্ষতি হবেই না। শুধু ধানক্ষেতের ফসল যদি নষ্ট না হয়, তাহলে ক্ষতি হবেই না।’

অপরদিকে আমাদের বাগমারা প্রতিনিধি জানান, রাজশাহীর বাগমারায় ফনির প্রভাবে শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে হালকা ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে। এলাকায় নেই বিদ্যুৎ। সকালে বেড়েছে বৃষ্টি ও বাতাস। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে কেউ বাইরে যেতে যাচ্ছে না। মাঠে বোরো মৌসুমের পাকা ধান মাটিতে লেপ্টে পড়েছে। সকলের মুখ উদ্বিগ্নের ছাপ রয়েছে।

জেলার দুর্গাপুর, পুঠিয়া, পবা, মোহনপুর, বাঘা, চারঘাট ও তানোর এবং গোদাগাড়ীতেও প্রায় একই অবস্থা বিরাজ করছে।

স/আর