ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসেইন দেহকান বলেছেন, তার দেশের প্রতিরক্ষা শক্তি কখনোই পরমাণু অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না। পরমাণু অস্ত্রকে নিষিদ্ধ করে সর্বোচ্চ নেতা যে ফতোয়া দিয়েছেন সেকথা উল্লেখ করে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
জেনারেল দেহকান ফরাসি নিউজ চ্যানেল ফ্রান্স২৪’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, ইরান সব সময় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’কে সহযোগিতা করেছে এবং পৃথিবীর হাতে গোণা যে কয়েকটি দেশ এনপিটি চুক্তিতে সই করেছে ইরান সেগুলোর অন্যতম। তিনি বলেন, “আমরা কখনোই পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করিনি এবং ভবিষ্যতেও করব না।” ইরান প্রচলিত সমরাস্ত্রে এত বেশি সমৃদ্ধ যে তার পরমাণু অস্ত্রের কোনো প্রয়োজন নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ইরানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেহকান বলেন, সর্বোচ্চ নেতার ফতোয়া অনুযায়ী পরমাণু অস্ত্র তৈরি, সংরক্ষণ ও ব্যবহারকে হারাম বা নিষিদ্ধ মনে করে তেহরান। অন্যদিকে সারা পৃথিবী জানে, যে দেশটি পরমাণু অস্ত্র তৈরি, সংরক্ষণ ও মানবহত্যার কাজে এই অস্ত্র ব্যবহার করেছে সেটি হচ্ছে আমেরিকা। প্রকৃতপক্ষে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার প্রতিযোগিতা থেকেই শীতল যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে জেনারেল দেহকান বলেন, যতদিন পর্যন্ত ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হচ্ছে ততদিন ইরানের পক্ষে এই সমঝোতায় দেয়া প্রতিশ্রুতিতে পুরোপুরি ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়।
সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন