সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক :
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি দীর্ঘ ৯ মাস কারাগারে থাকার পর বৃহস্পতিবার মুক্তি পেয়েছেন। ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। বুশরা বিবির মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) বুধবার তোশাখানা মামলায় বুশরা বিবির জামিন মঞ্জুর করেন। এই জামিনের ভিত্তিতে আজ একটি বিশেষ আদালত তার মুক্তির নির্দেশ দেন। বুশরা বিবি তোশাখানা মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি ১৪ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন। একই মামলায় ইমরান খানকেও সমান মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছিল।
বুশরা বিবিকে ৩১ জানুয়ারির রায়ের পর পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং পরে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পাঠানো হয়। একই কারাগারে ইমরান খানও আটক রয়েছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে বন্দি রাখা হয়েছে ইমরান খানকে। তিনিও তোশাখানা মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন এবং তাকেও একই কারাগারে রাখা হয়।
ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা ১৪ কোটি রুপির মূল্যবান রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করেছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ইমরান খান বিভিন্ন দেশের নেতাদের কাছ থেকে উপহারগুলো পেয়েছিলেন। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে ইমরান খান রাষ্ট্রীয় কোষাগারে এসব উপহার জমা না দিয়ে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
গত বছরের ১৩ জুলাই ইমরান ও বুশরাকে তোশাখানা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। একই দিন ইসলামি বিধিবহির্ভূত নিকাহর অভিযোগ থেকে তাদের খালাস দেওয়া হয়। তবে বুশরা বিবির মুক্তির পরও ইমরান খান কারাবন্দী রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গত ৯ মে ঘটনার পর একাধিক মামলা চলছে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বুশরার মুক্তি
বুশরা বিবির মুক্তির পর পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে কেন্দ্র করে যে মামলাগুলো চলছিল, তা পাকিস্তানের বিচার ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে আরো জটিল করে তুলেছে। ইমরান খানের দল পিটিআই এই মুক্তিকে নতুন করে রাজনৈতিক শক্তি অর্জনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছে, যদিও ইমরান খানের কারাবাস এখনো চলমান রয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন