৯৯৯ নম্বরে ফোন করে যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার চার কিশোরী

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে আটকে রাখা চার কিশোরীকে উদ্ধার এবং পল্লীর প্রভাবশালী এক বাড়িওয়ালিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জাতীয় হেল্প ডেস্ক ৯৯৯ নম্বরে সহায়তা চাওয়ার পর গতকাল শুক্রবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

আইন অনুযায়ী, শিশু-কিশোরী থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সী নারীদের যৌন পেশায় লিপ্ত করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও দৌলতদিয়া পতিতাপল্লী প্রভাবশালী বিভিন্ন বাড়িওয়ালির ছত্রছায়ায় সেখানে বিশাল দালালচক্র গড়ে উঠেছে। তারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিশু ও কিশোরী মেয়েদের অন্যত্র চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে আসে। তারা অসহায় মেয়েগুলোকে পল্লীর বিভিন্ন বাড়িওয়ালির কাছে নগদ টাকায় বিক্রি করে। তাদেরই একজন শুভ নামে ৩০ বছরের এক যুবক। অজ্ঞাত ঠিকানার ওই শুভ দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর দালালচক্রের একজন সক্রিয় সদস্য।

পুলিশ ও উদ্ধার হওয়া কিশোরীরা জানায়, গত ঈদুল আজহার কিছুদিন আগে আগস্ট মাসে আলাদা দিনে বিউটি পার্লারে ভালো বেতনে কাজ দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র অসহায় পরিবারের চার কিশোরী মেয়েকে ফুসলিয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে এনে রূপা বেগমের কাছে বিক্রি করে দেয়। তখন থেকে রূপা তার ভাড়াটিয়া যৌনকর্মী সুমী আক্তারের তত্ত্বাবধানে রেখে জোর করে ওই চার কিশোরীকে দেহব্যবসার কাজ করায়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারকৃত চার কিশোরীর একজন বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালি রূপা, তার ভাড়াটিয়া যৌনকর্মী সুমী আক্তার ও দালাল শুভর বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা করেছে। মামলার অন্য দুই আসামি যৌনকর্মী সুমী আক্তার ও দালাল শুভ পলাতক রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। কালের কণ্ঠ