অতিমারি করোনাভাইরাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে টিকাকরণ এবং কড়াকড়ি করে বিধিনিষেধ মেনে চলার সুপরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে লড়তে টিকা নেওয়ার পর যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে কিনা সেই নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন মানুষ।
বিশেষত ক্যান্সার রোগীদের নিয়ে। কিন্তু সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলছে- করোনা টিকা ৯৪ শতাংশ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের শরীরে কার্যকরী। ৬ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের শরীরে করোনা টিকার কোনও প্রভাব লক্ষ্য করেননি বিশেষজ্ঞরা।
ক্যান্সার সেল জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনা টিকা ক্যান্সার রোগীদের শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। আমেরিকার গবেষকেরা জানিয়েছেন, টিকা নেওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহ পরে ক্যান্সার রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বেড়ে উঠেছে।
গবেষণার জন্য ১৩১ জন ক্যানসার রোগীকে নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে শুধুমাত্র ৬ শতাংশ রোগীদের শরীরে করোনা টিকার কোনও কার্যকারিতা দেখা যায়নি। তবে ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ রুখতে এই টিকা ক্যান্সার রোগীদের শরীরে কতটা কাজ করবে, তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে বলেই জানানো হয়েছে।
কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ যে সকল রোগীর শরীরে টিকা নেওয়ার পর যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি, তাদের কি তৃতীয় ডোজ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে? এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানান, বহু দেশে করোনা টিকার ঘাটতি রয়েছে। সেখানে করোনা টিকার একটি ডোজ কার্যকরী বলেই ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ক্যানসার রোগীদের ক্ষেত্রে করোনার একটি ডোজ যথেষ্ট নয়।
সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন