৯৪ বছর বয়সেও রাণীনগরের বিরো বিবির কপালে জুটেনি বয়স্কভাতা

রাণীনগর প্রতিনিধি: ৯৪ বছর বয়স হলেও নওগাঁর রাণীনগরের বিরো বিবির কপালে জুটেনি বয়স্ক অথবা বিধবা ভাতার কার্ড। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন ৯৪ বছর বয়সী বিরো বিবি। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তাকে একটি কার্ড করে দেওয়ার জন্য কেউ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার একডালা ইউনিয়নের দুধকুন্ডি দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলী প্রামানিকের স্ত্রী বিরো বিবি। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী বয়স তার ৯৪ বছর। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন বিরো বিবি। প্রায় ৪০-৪৫ বছর আগে বিধবা হন তিনি। আর কত বয়স হলে বয়স্ক অথবা বিধবা ভাতার কার্ড জুটবে তার কপালে- এমনি প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তিনি অনেকের কাছে তার বয়স্কভাতার কার্ড অথবা বিধবা ভাতার একটি কার্ডের জন্য ধরণা দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্ড করে দেওয়ার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কেউ। তাই এখন বয়স্কভাতা অথবা বিধবাভাতার কার্ডের আশাই ছেড়ে দিয়েছেন বিরো বিবি।

নুইয়ে পড়া ৯৪ বছর বয়সী বিরো বিবি বলেন, কত মেম্বার, কত চেয়ারম্যান এলো গেল, কেউ তাকিয়েও দেখে না। আশে-পাশের অনেকেই আমার ছোট। তারাও বয়স্কভাতা অথবা বিধবাভাতার কার্ড পাচ্ছে। কিন্তু আমার কপালে এখনো বয়স্কভাতা অথবা বিধবাভাতার কার্ড জুটেনি। কে দিবে কার্ড? কেউ খোঁজও নেয় না ।

এ ব্যাপারে উপজেলার একডালা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার আজিজার রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বয়স্কভাতা ও বিধবাভাতার কার্ডের ভাগ আমাকে না দেওয়ায় আমি তাকে কার্ড করে দিতে পারিনি।

এ ব্যাপারে একডালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলামের মন্তব্য জানার জন্য তার মুঠোফোনে ফোন করলে ফোনটি রিসিভ করেন। কিন্তু মিটিংয়ে আছি বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, আমার কাছে আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স/শা