‘৮ লাখ বেশি কোরবানি হয়েছে অর্থাৎ মানুষের সামর্থ্য বেড়েছে’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্কঃ

এবছর আনন্দঘন পরিবেশে দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গতবছরের তুলনায় এবছর ৮ লাখ কোরবানি বেশি হয়েছে। ৮ লাখ বেশি কোরবানি হওয়া মানে মানুষের সামর্থ্য বেড়েছে।

বুধাবার (১৩ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালের সম্মেলন কক্ষে ‘এক নজরে বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ এর মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তথ্যসচিব মো. মকবুল আহমেদসহ অন্যান্যো উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গতবছরের তুলনায় এবছর বেশি কোরবানি হওয়া প্রামাণ করে যে মানুষের সামর্থ্য বেড়েছে। যদিও কোরবানিযোগ্য পশু গতবছরের তুলনায় বেশি ছিল। ৮ লাখ বেশি পশু কোরবানি প্রমাণ করে করোনা মহামারির মধ্যে, বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতি যখন পৃথিবীতে বিরাজমান তখন বাংলাদেশের মানুষের সামর্থ্য বেড়েছে। একই সঙ্গে এবছর মানুষ বাংলাদেশের পশু কোরবানি দিয়েছে। এমনকি হাটে এসেও অনেক গবাদিপশু ফেরত গেছে। অর্থাৎ আমাদের যা প্রয়োজন সেটা নিজেরাই মেটাতে পারছি। এটা সরকারের নানামুখী নীতির কারণে সম্ভব হয়েছে।

পোস্তার কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা বলেছেন এবছর ৩০ শতাংশ কোরবানি কম হয়েছে, অখচ আপনি বলছেন কোরবানি ৮ লাখ বেশি হয়েছে। এখানে যে তথ্যের বিভ্রাট দেখা যাচ্ছে সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশের প্রথম সারির কয়েকটি পত্রিকায় নিউজ হয়েছে গতবছরের তুলনায় ৮ লাখ পশু বেশি কোরবানি হয়েছে। তবে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য কম হওয়ার কারণে অনেকেই চামড়া বিক্রি না করে পুঁতে ফেলেছেন এমন ঘটনাও ঘটেছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, দাম কম হওয়ায় অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনতে যাননি। চামড়া যারা সংগ্রহ করেছেন তাদের কাছে পরিসংখ্যান ভুল হতে পারে। হতে পারে চামড়া সংগ্রহ কম হয়েছে। আমার গ্রামের বাড়িতে এবছর বেশি গরু করবানি হয়েছে। ফলে কোরবানির মাংস নেওয়ার মতো লোক ছিল না। অন্যত্র গিয়ে মাংস বিতরণ করতে হয়েছে। তাই চামড়ার পরিসংখ্যান দিয়ে কোরবানির পরিসংখ্যান করা যাবে না।

ট্যানারি মালিকরা এ পর্যন্ত ৫ থেকে ৬ লাখ চামড়া সংগ্রহ করেছেন। বাকি চামড়া সংগ্রহে কতদিন লাগবে?- এমন প্রশ্নের জবাব মন্ত্রী বলেন, ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়াটা আসে সবার শেষে। ফলে এ বছর যত পশু কোরবানি হয়েছে- সব চামড়া এখনো ট্যানারি মালিকদের কাছে আসেনি। সেগুলো এখনো মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছে রয়েছে, তা লবন দিয়ে রেখেছেন তারা। সুতরাং এর সঠিক তথ্য পেতে আরও দুই-তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ