৮ দিন পর শেরপুর-জামালপুরে যান চলাচল স্বাভাবিক

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের নন্দীর বাজার পোড়াদোকান নামক স্থানের কজওয়ে (ডাইভারশন) ওপর বন্যার পানি কমে গেছে। এতে আট দিন সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর শুক্রবার ভোর থেকে ওই সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

জেলায় বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি আরও কমে এখন তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে চরাঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও ফসলের মাঠ তলিয়ে রয়েছে।

বন্যাকবলিত বিভিন্ন স্থানে পেটের পীড়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে।

বন্যার কারণে শেরপুরের ৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং একটি কলেজসহ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

শেরপুর জেলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় শেরপুর জেলার ৫২ ইউনিয়নের মধ্যে ৩০টি বন্যাকবলিত ইউনিয়নে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ, সড়ক যোগাযোগ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এর মধ্যে রোপা আমন বীজতলা, সবজি, আউশ আবাদ, পাট ও ফলবাগান বিনষ্ট হয়ে প্রায় ৩০ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বন্যার পানিতে ডুবে ৯ শিশু ও বজ্রপাতে একজনসহ ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যায় জেলার ২৮৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত, এক হাজার ১৫৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের বীজতলা, পাট ৬০ হেক্টর এবং ৫৭৫ হেক্টর জমির আউস ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে।

ঘরবাড়ি ৫০০ সম্পূর্ণ, দুই হাজার ২০৫টি ঘরবাড়ি আংশিক, বাঁধ এক কিলোমিটার সম্পূর্ণ এবং আট দশমিক ৭৫ কিলোমিটার আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে জেলা প্রশাসনের আওতায় ইতিমধ্যে ১০৫ টন চাল ও দেড় লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এলাকাগুলোতে ৫৭টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।