৮ দিনেই রবির বাজার মূলধন বেড়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা!

নতুন বছরের তৃতীয় কার্যদিবসেও লেনদেন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হওয়া আট কার্যদিবসের প্রতিটি কার্যদিবসেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করল। এতে আট দিনের লেনদেনেই কম্পানিটির শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা!

মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারি) লেনদেনের শুরুতে ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা করে কম্পানিটির ১৭৫টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। তবে এ দামে বিনিয়োগকারীরা কম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে ৩৯ টাকা ৪০ পয়সা করে ৬৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮০টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এর মাধ্যমে দিনের দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে কম্পানিটি।

এর ফলে দেশের শেয়ারবাজারের ইতিহাসে লেনদেন শুরুর প্রথম আট কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার তালিকায় রবি দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে নাম লেখাল। এর আগে ওয়ালটনের শেয়ার লেনদেন শুরুর প্রথম আট কার্যদিবস টানা দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছিল।

১০ টাকা অভিহিতমূল্যে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) শেয়ার ইস্যু করা রবির শেয়ার লেনদেনের শুরু থেকেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। যে কারণে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। টানা আট কার্যদিবস দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে কম্পানিটির শেয়ারের ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা এক প্রকার উধাও হয়ে গেছে।

উল্লেখ্য, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে অনুমোদন নিয়ে রবি আজিয়াটার আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আইপিও খরচের জন্য রবিকে অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এই টাকা তোলার জন্য কম্পানিটি ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি সাধারণ শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করে। এর মধ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার কম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ইস্যু করা হয়েছে।

 

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ