৭ দাবিতে চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, পরীক্ষা বর্জন

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) আবাসিক হলগুলোতে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এছাড়া অনেকেই করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় হলে অবস্থান করছে। এমতাবস্থায় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা রবিবারের (১৬ জানুয়ারি) নির্ধারিত পরীক্ষা বর্জন করেছে।

এ ছাড়া ১৭, ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি থেকে যথাক্রমে তৃতীয়, দ্বিতীয় ও প্রথম বর্ষের পরীক্ষা শুরু হওয়ার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা মাথায় রেখে সাত দফা দাবিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে চুয়েটের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি- আমরা একাডেমিক কার্যক্রম কোনোভাবেই আর বিলম্বিত করতে চাই না, অফলাইন পরীক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত বর্ষের লেভেল ৪ টার্ম-১ এর অবশিষ্ট চারটি পরীক্ষা রিশিডিউল এবং লেভেল ৪ টার্ম-২ এর পরীক্ষাসমূহের শিডিউল ঘোষণা করতে হবে। তৃতীয় বর্ষের লেভেল ৩ টার্ম ২, দ্বিতীয় বর্ষের লেভেল ২ টার্ম ২ এবং প্রথম বর্ষের লেভেল ১ টার্ম ২ এর পূর্বের শিডিউলকৃত পরীক্ষার অনলাইনে যথাযথ ডিএলসহ রিশিডিউল করতে হবে।

এ ছাড়া সকল ব্যাচের চলতি লেভেলের টার্ম ফাইনাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে বিভিন্ন বর্ষের শর্ট/সেলফস্টাডি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের। অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণে যাদের ডিভাইসের সংকট থাকবে তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে লোনের ব্যবস্থার দাবি করে তারা।

এ সসব দাবিতে উল্লেখপূর্বক শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এরই প্রেক্ষিতে চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম শিক্ষার্থীদের মাঝে সরাসরি উপস্থিত হয়ে শিগগিরই একাডেমিক কাউন্সিল ডেকে সীদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দেন। সে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।

উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে শিক্ষার্থীরা হলে ফিরে যান এবং আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে তাদের দাবিসমূহ মেনে নেওয়ার সময় বেধে দেন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ