৬৪০ যাত্রীর মধ্যে ছিলেন আফগান গায়িকা আরিয়ানাও

তালেবান বাহিনী কাবুল দখল করার পরদিনই শত শত আফগান দেশ ছেড়ে পালাতে রাজধানীর হামিদ কারজাই বিমানবন্দররে ভিড় জমিয়েছিল। একটি মার্কিন বিমানেই উঠে বসে ৬৪০ জন।

বিমানে উঠতে গিয়ে হুড়োহুড়ি করেই মারা গিয়েছেন অন্তত ৬ জন। বিমানের চাকা ধরে পালানোর চেষ্টাও করেছে আফগানিরা।

জানা গেছে, সেই বিমানের যাত্রী ছিলেন আফগান পপ গায়িকা আরিয়ানা সাইদ। তালেবানদের ভয়ে আত্মরক্ষার্থে তিনিও দেশ ছেড়ে গেলেন মার্কিন মুলুকে।

২০০১ সালে তালেবান সরকারের পতনের পর গত ২০ বছর দেশটির নারী স্বাধীনতাপ্রত্যাশীতের অন্যতম পথিকৃত ছিলেন আরিয়ানা সাইদ।

নিজের দেশ আফগানিস্তানে মার্কিন মডেলদের মতো খোলামেলা পোশাকেই ঘুরে বেড়াতেন তিনি। প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে গাইতেন গান।

মার্কিন সৈনিকদের বহন করা সেই সি–১৭ বিমানে উড়ে যে তিনি পালিয়েছেন, সে খবর জানিয়েছেন এই আফগান গায়িকা নিজেই।

বিমানে লুকিয়ে উঠে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেন আরিয়ানা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলাম, ‘হয়তো আমিই হব মাতৃভূমি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শেষ যোদ্ধা।’ মজার ঘটনা হচ্ছে, আজ সেটাই ঘটল আমার জীবনে।’

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের কাবুলে জন্ম আরিয়ানার। তার মা তাজাকিস্তানের। ৮ বছর বয়সে বাবা–মায়ের সঙ্গে পাকিস্তানের পেশোয়ারে চলে যান আরিয়ানা। সেখান থেকে সুইজারল্যান্ডে। এরপর ইংল্যান্ডে। ২০১১ সাল পর্যন্ত ইউরোপেই ছিলেন তিনি। যে কারণে আফগানি হয়েও পশ্চিমা জীবনে অভ্যস্ত আরিয়ানা।

ইউরোপে থাকতেই আরিয়ানা ‘আফগান পেশারক’ গানটি গান, যা আফগানিস্তানে জনপ্রিয়তা পায়। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, মাতৃভূমিতে ফিরবেন। এর কিছুদিন পরেই আফগানিস্তানে ফেরেন ও নতুন নতুন অনেক গান উপহার দেন। তবে ফের তালেবানের পুনরুত্থানে দেশ ছাড়তে হলো এ গায়িকাকে।

সূত্র: যুগান্তর

স/রি