৫ কারণে টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের দাবিদার পাকিস্তান, বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের জয়রথ চলছেই। ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে হারানোর পরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের মঞ্চে টানা তিন ম্যাচ জয়ের পর পাকিস্তান দলকে এখন অনেকেই শিরোপা জয়ের অন্যতম অন্যতম দাবিদার হিসেবে দেখছেন।

পাকিস্তান এবারের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার বলে জানিয়েছে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম। এ নিয়ে এক প্রতিবেদনে ওপার বাংলার প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, যে দলকে বিশ্বকাপ জয়ের দৌড়ে রাখাই হচ্ছিল না, সেই পাকিস্তানই এখন বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার। বিশ্বকাপে নামার আগে কোচ বদল, একাধিক ক্রিকেটার বদল, জর্জরিত করে দিয়েছিল বাবররা। ভারত, নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে পাকিস্তান নিজেদের অন্যতম শক্তিশালী দল হিসাবে প্রমাণ করেছে। মূলত পাকিস্তান কেন টি-২০ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার তার পাঁচটি কারণও খুঁজে বের করেছে পত্রিকাটি। জেনে নিন সে পাঁচটি কারণ-

১. ঘরের মাঠ: যে টি-২০ বিশ্বকাপ ভারতের মাটিতে আয়োজিত হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে পাকিস্তানের ঘরের মাঠে। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপরে আক্রমণ হওয়ার পর পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। সেই সময় থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতে শুরু করে পাকিস্তান। এর ফলে দুবাই, আবুধাবির মাঠ পরিচিত পাকিস্তানের কাছে। টানা ১৩টি ম্যাচ জেতার রেকর্ডও গড়ে পাকিস্তান।

 

২. রামিজ রাজার পদক্ষেপ: দলের ভিতরে সমস্যা হলেই যেন আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপেও সেটা দেখা গিয়েছিল। এবারের বিশ্বকাপের আগে কোচের দায়িত্ব ছাড়েন মিসবাহ-উল-হক। রামিজ রাজা মাত্র দায়িত্ব নিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। এসেই একাধিক বিতর্কের মুখে পড়েন তিনি। তবে তার নেওয়া সিদ্ধান্তে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে।

৩. অধিনায়ক বাবরের নেওয়া সিদ্ধান্ত: নিজের দল বাছার সুযোগ পেয়েছেন বাবর। শেষ মুহূর্তে দলে নেওয়া হয় শোয়েব মালিক, ফখর জামানদের। দুইজনকেই প্রথম একাদশে খেলতে দেখা গেছে। মোহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে বাবরের ওপেনিং জুটি সাফল্য পেয়েছে। বোলারদের সাফল্যও দলকে সাহায্য করেছে। বাবরের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলি সাফল্য এনে দিয়েছে দলকে।

৪. অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের দলে নেওয়া: শোয়েব মালিক ও মোহম্মদ হাফিজদের মতো অভিজ্ঞদের দলে নিয়ে আসায় কাজ দিয়েছে পাকিস্তান দলের। ৩৯ বছরের শোয়েব মালিককে দলে নেওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু নিজেকে ফিট রেখেছেন শোয়েব। ব্যাট হাতে এখনও দলকে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা রয়েছে তার।

৫. পাকিস্তান সুপার লিগ: বাবরদের সাফল্যের অন্যতম কারণ পাকিস্তান সুপার লিগ। ২০০৯ সালের পর থেকে আইপিএল-এ খেলতে পারে না পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ২০১০ সাল থেকে পাকিস্তান দলের সাফল্য কমতে থাকে। ২০১৫ সালে শুরু হয় পিএসএল। ভারত না খেললেও অন্যান্য দেশের তারকারা এই লিগে খেলেন। টি-২০ ক্রিকেটের চাপ নিতে শিখে গিয়েছেন বাবররা। বিশ্বকাপের বাকি দলগুলিকে চাপে ফেলার ক্ষমতা রাখে এই পাকিস্তান।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন