৩ বছরেও হয়নি রাবি অধ্যাপক শফিউল হত্যার বিচার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যপক ড. একেএম শফিউল ইসলামকে হত্যার তিন বছরেও আসামিদের কোন বিচার হয়নি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এগারোজনকে গ্রেফতার করলেও তারা এখন জামিনে আছেন। এদিকে, আসামিদের দ্রুত বিচার দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষক সমিতির ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে খুন হন শফিউল ইসলাম। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর এক বছর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক রাজশাহী জেলা যুবদলের আহ্বায়কসহ দশজন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাসরিন আখতারকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্রে নাসরিন আখতারের সঙ্গে শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জের ধরেই হত্যাকা- ঘটানো হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। পরে নাসরিন আখতার হত্যাকা-ের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুস সালাম সিল্কসিটি নিউজকে বলেন, ‘এ বছরের শুরুতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মামলাটি এখন দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচারাধীন আছে।’

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত চারজন শিক্ষকসহ অসংখ্য শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেও আমরা কোন বিচার পাইনি। খুনিরা বুঝে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদে হত্যা করা যায়। কিন্তু এভাবে আর কত শিক্ষক শিক্ষার্থী খুন হলে রক্তের এ খেলা বন্ধ হবে? এ সময় বক্তারা হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রুহুল আমিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি জুলফিকার আলী ইসলাম, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরকার সুজিত কুমারসহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
স/শ