রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি ও তাদের বন্ধুদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই দুই ছাত্রী।
অভিযোগ দেয়া দুই ছাত্রীর নাম আফসানা আক্তার আশা ও আফরোজা আক্তার আলো এবং সমপর্কে তারা জমজ বোন। দুজনই বিশ^বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন, বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক রাব্বিউল ইসলাম রূপক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান, জিয়াউর রহমান হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ ও বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফরহাদ হাসান।
অভিযোগপত্রে দুই ছাত্রী জানান, শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তারা ৪ বন্ধুসহ পরিবহন মার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় আফসানা আক্তার আশা রাস্তায় পড়ে থাকা একটি ছোট ইটের খোয়ায় লাথি মারেন। কিন্তু সেই পাথর সামনে থেকে আসা ছাত্রলীগ নেতাদের একজনের পায়ে লাগে। তাৎক্ষণিক আশা ছাত্রলীগ ওই নেতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান। কিন্তু এসময় ছাত্রলীগ নেতাদের একজন তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘টুইন (জমজ) না হলে মার্ডার করে ফেলতাম’।
পরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে থাকা বন্ধুরা হুমকির প্রতিবাদ করলে ওই নেতারা ফোন করে বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-ক্রীড়া সম্পাদক রাব্বিউল ইসলাম রূপককে ডেকে আনেন। পরে ওই নেতার নেতৃত্বেই আরও ১৪-১৫ জন ওই ছাত্রীর চার বন্ধুকে এলোপাথারি মারধর করেন। এতে নাজমুস সাকিব শুভ ও রাকিবুল্লাহ রাকিব নামে তার দুই বন্ধু আহত হন। পরে শুভকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাব্বিউল ইসলাম রূপকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। আরেক ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান বলেন, ‘হুমকির অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে সেদিন তাদের সাথে একটু কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে একটু ধাক্কাধাক্কিও হয়। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এতে আমাদের ছাত্রলীগের কয়েকজনের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ইতোমধ্যে দুইপক্ষের সাথে কথা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, অতিদ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
