২৮ মার্চের হরতালে সমর্থন দিল প্রগতিশীল নারী সংগঠনগুলো

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ২৮ মার্চ বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতালে সমর্থন জানিয়েছে প্রগতিশীল নারী সংগঠনগুলো। এদিকে আজ বুধবার হরতালের সমর্থনে রাজধানীর পুরানা পল্টন থেকে শান্তিনগর ও মালিবাগ অভিমুখে পদযাত্রা, গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি করেছেন বাম জোট নেতৃবৃন্দ।

বাম জোটের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন বাম জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ ও খালেকুজ্জামান লিপন, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা লূনা নূও ও সেকেন্দার হায়াত, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুজ্জামান ফিরোজ, ওয়ার্কাস পার্টি (মার্কসবাদী)’র বিধান দাস প্রমূখ।

এ সময় নেতৃবৃন্দ খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় হরতালের শান্তিপূর্ণ প্রচারণায় পুলিশি বাঁধার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এ ধরনের তৎপরতাকে স্বৈরতন্ত্রী হিসাবে আখ্যায়িত করে গণপ্রতিরোধের পথে হামলা আক্রমণ মোকাবিলা করার আহ্বান জানান তারা। একইসঙ্গে সরকারের সকল উসকানি পরিহার করে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

এদিকে বুধবার এক বিবৃতিতে ২৮ মার্চ হরতালের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র নারী সেলের লক্ষ্মী চক্রবর্তী ও লুনা নূর, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সভাপতি প্রকৌশলী শম্পা বসু ও সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা নূরী, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম, নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, নারী সংহতির সভাপতি শ্যামলী শীল এবং বিপ্লবী নারী ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমেনা বেগম।

বিবৃতিতে নারী নেতৃবৃন্দ বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা ও মুনাফাখোর অসৎ সিণ্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে মানুষ আজ দিশেহারা। বাজারের দ্রব্যমূল্যের আগুন এখন ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। কোটি পরিবারের এখন দুই বেলাও খাবারের কোন সংস্থান নেই। দেড়-দুই কোটি মানুষ এখন রাতে না খেয়ে ঘুমাতে যায়। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে দেশ আবারও দুর্ভিক্ষাবস্থার মুখোমুখি হতে পারে। তাই জনগণের মুক্তির স্বার্থে হরতাল সফল করতে হবে।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ